ইমরুল শাহেদ: ইসরায়েলের দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি ডানপন্থী। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বামপন্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। আল-জাজিরা
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। তিনি প্রথমে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এবং পরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নতুন সরকার নিয়ে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট। নেতানিয়াহুর আলোচ্য সরকার হবে দেশটি ৩৭তম সরকার। এছাড়া তিনি লিকুদ পার্টির চেয়ারম্যান।
অধিবেশন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। বিরোধী দল প্রশ্ন তুলেছে, নেতানিয়াহুর সরকার হবে সবচেয়ে দূর্বল একটি সরকার। এর জবাবে চিৎকার করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যারা ইরানের পরমাণু চুক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন, তারাই এ কথা বলছে।’
অধিবেশনের শুরুতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লেপিড বক্তৃতা করেন। তারপরই নেতানিয়াহু সরকারে যারা যুক্ত হচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে গাইডলাইন প্রদান করেন নেতানিয়াহু। পার্লামেন্টে বিরোধী দলের প্রধান হতে যাচ্ছেন ইয়ার লেপিড।
আস্থা ভোটে যদি নেতানিয়াহু ও তার জোট টিকে যায় তাহলেই তার ও মন্ত্রিপরিষদের শপথ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বার বার সরকার পতনের কারণে নভেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর মনে করা হয়েছিল ইসরায়েলের রাজনৈতিক বিশৃংখলা শেষ হবে। কিন্তু তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চার বছরেরও কম সময়ে পাঁচ বার পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসরায়েলে।
এর বেশিরভাগই ছিল নেতানিয়াহুর প্রতি তীব্র রাজনৈতিক বিরোধিতার ফলাফল। তিনি বর্তমানে দুর্নীতির জন্য বিচারাধীন আছেন, যদিও এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
আইএস/এএ