ইমরুল শাহেদ : পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সোমবার তোশাখানা রেফারেন্সে ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণার পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-র চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। জিওটিভি
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যাপারে পিটিআই প্রধানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
দি নিউজের প্রতিবেদনে আরো হয়েছে, বিদেশি তহবিল বিষয়ে যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারেও শুনানি হবে একই দিন।
যাহোক, পিটিআইয়ের একজন নেতার কাছে চেয়ারম্যানকে নিয়ে দেওয়া নোটিশের বৈধতা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দর সুলতান রাজার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
২০১৭ সালের নির্বাচন আইনে এমন কোনো বিধান নেই, যা পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট আদেশ ২০০২-এর ধারা ৫ (১) এর অংশ ছিল। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের চাকরিতে না থাকা প্রত্যেক নাগরিক, দল গঠন করার বা সদস্য হওয়ার অধিকার রাখে।
একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য বা অন্যথায় একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া বা একটি রাজনৈতিক দলের একজন পদাধিকারী হিসাবে নির্বাচিত হওয়া: শর্ত থাকে যে একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হবে না বা অফিস-কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করা হবে না রাজনৈতিক দল যদি তিনি ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে বা আপাতত অন্য কোনো আইনের অধীনে মজলিস-ই-শুরার সদস্য হন, নির্বাচিত বা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হন বা অযোগ্য হন তাহলে সময়োপযোগী কার্যকর আইন কাজ করবে.......’।
এএইচ
আপনার মতামত লিখুন :