ইমরুল শাহেদ: জাতিসংঘের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক সরকার বিরোধীদের দমনের জন্য ১৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আল-জাজিরা
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক শুক্রবার বলেছেন, বুধবার সাতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গোপনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। পরদিন বৃহস্পতিবার আরো চারজন রাজনৈতিক কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
তুর্ক সমস্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার এবং মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিচার কাজের মূল ভিত্তি নিরপেক্ষতার পথ পরিহার করে সামরিক শাসকরা গোপন আদালতে বিচার করছেন। এখানে নিরপেক্ষতা বলে যেমন কিছু নেই, তেমনি সুবিচারের নিশ্চয়তাও নেই।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, সামরিক বাহিনী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি ঘৃণাও দেখিয়েছে ‘বিরোধীদের দমন করার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করে’।
ইয়ানগুনের ড্রাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার বলেছে, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী সাতজন শিক্ষার্থীকে ইয়ানগুনের ইনসেইন কারাগারের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তাদেরকে গত ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়।
ড্রাগন বিশ্ববিদ্যালয় ষ্টুডেন্টস ইউনিয়নের একজন নির্বাহী সদস্য বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা ইয়ানগুনের জান্তা বিরোধী একটি সশস্ত্র বিপ্লবী গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা গত এপ্রিলে একটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে হত্যার গুলি করে হত্যার সঙ্গে যুক্ত।
সামরিক সরকারের বিপরীতে গঠিত বেসামরিক সরকারের প্রধান দুওয়া লাসি লা বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার বেসামরিক লোককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
আইএস/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :