মিহিমা আফরোজ: জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গ। বৃহস্পতিবার, এই সম্মেলনের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, প্রতিরক্ষার স্বার্থে আরও শক্তিশালী জার্মান সেনা চায় ন্যাটো। ডয়েচে ভেলে
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেছেন, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ইউরোপের ইতিহাসে একটি টার্নিংপয়েন্ট। এই আক্রমণ জার্মান সেনা বাহিনীকে নতুন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাশিয়া চেষ্টা করছে ইউরোপে ‘সাম্রাজ্যবাদী শক্তি’ হয়ে উঠতে।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষাখাতে বিপুল পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ করেছিল জার্মানি। জার্মান সেনা সংস্কারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্টোলেনবার্গ। তিনি বলেছেন, জার্মানি যেভাবে ইউক্রেনকে সামরিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
স্টোলেনবার্গ তার বক্তৃতায় বলেছেন, তিনি জানেন যে এই সাহায্যের জন্য ভুক্তভুগি হচ্ছে বিশ্বের বেসামরিক নাগরিক। এর কারণে বিশ্বের সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন উর্ধ্বমুখী। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইউক্রেনবাসী তাদের রক্তের বিনিময়ে লড়াই করে যাচ্ছে, যার মূল্য অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। গোটা বিশ্ব যদি এখন ইউক্রেনকে সহযোগিতা না করে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক ন্যাটোভুক্ত দেশ দীর্ঘদিন ধরে জার্মানিকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরির জন্য সেনাখাতে অর্থ বাড়ানোর অনুরোধ করছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জার্মানি সেনাখাতে অর্থের পরিমাণ বাড়ায়নি। সম্প্রতি জার্মানি সেনাখাতে বাজেট বাড়িয়েছে।
ইউক্রেন জার্মানির কাছে প্যাট্রিয়ট মিসাইল চেয়েছিল। পোল্যান্ড জার্মানির কাছে আবেদন করে, তাদের জন্য বরাদ্দকৃত মিসাইল যেন ইউক্রেনকে দেওয়া হয়। কিন্তু জার্মানি জানায়, ন্যাটোর সম্মতি ছাড়া ন্যাটো বহির্ভূত দেশে তারা মিসাইল দিতে পারে না। এ বিষয়ে কোন আলোচনা করেননি স্টোলেনবার্গ। তবে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবারাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ
এমএ/আইএস/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :