রাশিদুল ইসলাম: আফগানিস্তানের সামানগানের মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করলো ‘আজাদেগান’। ওই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। উত্তর আফগানিস্তানের সামানগান প্রদেশের মাদ্রাসাটিতে তখন প্রার্থনা চলছিল। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ওই হামলার দায় স্বীকার করে তথাকথিত আজাদেগান ফ্রন্ট যেটি গড়ে তোলা হয় ইউরোপ-আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়া আফগান নাগরিকদের সমন্বয়ে। তাদের দাবি, হামলায় বেশ কয়েকজন তালিবান সদস্য হতাহত হয়েছে। পারসটুডে
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায় প্রায় আট মাস আগে এই ‘জাতীয় আজাদেগান ফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছে। এই ফ্রন্ট গঠনের পেছনে রয়েছে বহু বছর আগে আফগানিস্তান ত্যাগ করে ইউরোপ-আমেরিকায় চলে যাওয়া আফগানরা। আফগানিস্তানের মাদ্রাসায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তালিবান সরকারের রাজনৈতিক সচিব মৌলভি আবদুল কবির ওই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি বার্তা দিয়েছে। ওই বার্তায় আজাদেগানের সন্ত্রাসী হামলাকে মানবীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি অপরাধ বলে নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তিনি সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজায়িও মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা ইসলামসহ মানবিক সকল মূল্যবোধ বিরোধী। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও আফগানিস্তানের ইবাক শহরের আল-জিহাদ মাদ্রাসায় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বিশ্বকে জানিয়ে দিলো আফগানিস্তানের জনগণের দুর্ভোগ এখনও শেষ হয় নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠি দায়েশ ওইসব হামলার দায় স্বীকার করেছে। রাজধানী কাবুলসহ বহু শহরে সংঘটিত এইসব সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করছে তালিবান সরকার দেশে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে দাবি করছে, তা যথার্থ নয়।
আপনার মতামত লিখুন :