রাশিদুল ইসলাম: জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিরোধী প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকল ভারত। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের মোকাবিলায় সে দেশের শাসকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দি ওয়াল
গত সেপ্টেম্বরে নারীদের জন্য নির্ধারিত কঠোর পোশাক বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার মাহশা আমিনি নৈতিক পুলিশ কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অভিযোগ করেছে। সেখানে একাধিক দেশ ও সংগঠন ইরানে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম বা তথ্যানুসন্ধান দল পাঠানোর প্রস্তাব আনে। ভোটাভুটিতে ৪৭টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত থাকে ভারত-সহ ১৬টি দেশ।
জেনেভায় ভোটাভুটি চলাকালীন ইরানের রাজনৈতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি দিল্লিতে ছিলেন। হিজাব নিয়েই কর্নাটকে বিপরীত দাবিতে আন্দোলন চলছে। কর্নাটক সরকার গত মার্চে শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতেও লড়াই চলছে। কর্নাটকেও আন্দোলন দমনে মানবাধিকার হরণের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ইরানের দমনপীড়নের সঙ্গে তার তুলনা চলে না। কিন্তু আগামী দিনে কর্নাটকের হিজাব মামলা কোন দিকে মোড় নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে ভারত সরকারকে দেশের অভ্যন্তরে ওই ইস্যুটির বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়েছে।
ভারতে মুসলিমদের প্রতি শাসক দল বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি যাইহোক না কেন, ইসলামিক দুনিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি সরকার সখ্য বজায় রেখে চলছে। ইসলামের মহানবী (সা:) সম্পর্কে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে আরব দুনিয়া প্রতিবাদে মুখর হতেই বিজেপি তাঁকে বরখাস্ত করে। একই কারণে চীনে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভারত তীব্র নিন্দা করেছে। আরব দুনিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত ভারত। আরব দুনিয়াকে বন্ধুত্বের বার্তা দিতেই এই কৌশল নিয়েছে নয়া দিল্লি, মনে করে কূটনৈতিক মহল।
আপনার মতামত লিখুন :