ইমরুল শাহেদ: পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া বুধবার বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে দেশের পরাজয় একটি রাজনৈতিক ব্যর্থতা ছিল এবং সামরিক ব্যর্থতা ছিল না, যা ব্যাপকভাবে বলা হয়। প্রতিরক্ষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে বাজওয়া রাজনীতিবিদদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ধৈর্য্যরে একটা সীমা আছে।’ এর সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের নিহত যোদ্ধাদের মনে রাখার জন্য দেশের আরো অনেক কিছু করার আছে। সেনাপ্রধান হিসেবে এটাই হতে পারে তার শেষ বক্তব্য। ইয়ন
ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত হয়ে ১৯৪৭ সালে সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তান, যা ছিল দুই ভাগে বিভক্ত - পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমানে পাকিস্তান) এবং পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। পশ্চিমের আধিপত্যে থাকা পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি অভিযান শুরু করার পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান দেশটি শাসন করার ক্ষমতা পেয়েছিল, যা পশ্চিমারা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। পণ্ডিতরা অনুমান করেছেন, জাতিগত নির্মূলের সময় বাংলাদেশে ৩ মিলিয়ন বা ত্রিশ লাখের মতো মানুষ নিহত হয়েছে, যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানের পরিপূরক ছিল।
বুধবারের(২৩ নভেম্বর) বিবৃতিটি ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের দিকে পরিচালিত ঘটনাগুলির সময় বাংলাদেশে নিরস্ত্র বেসামরিকদের হত্যার ইতিহাসকে হোয়াইটওয়াশ করার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টার সর্বশেষতম।
বাজওয়া বলেন, তিনি সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন রাজনৈতিকশক্তি সেনাবাহিনীকে টার্গেট করছে মিথ্যা ও মনগড়া অভিযোগ তুলে। সবকিছুর জবাব দিতে সেনাবাহিনী সক্ষম হলেও তারা নিশ্চুপই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ধৈর্য্যরে একটা সীমা আছে।’
আইএস/এএ
আপনার মতামত লিখুন :