শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৫:২৫ বিকাল
আপডেট : ০৬ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:০৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিরেজ, মিগ, জাগুয়ার চলবে না

অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান না পেলে চীন-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে ভারত

রাশিদুল ইসলাম: ২০৩৫ সালের মধ্যে মিরেজ, মিগ- ২৯, জাগুয়ার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করবে ভারত। কিন্তু এসব সেকেলে বিমানের পরিবর্তে চাই নতুন অত্যাধিক জঙ্গি বিমান। যেভাবে নতুন জঙ্গি বিমান তৈরি ও সংগ্রহ করছে চীন ও পাকিস্তান তারচেয়ে পিছিয়ে পড়ছে ভারত। ভারতের বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি.আর. চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, যদিও তার বাহিনী যোদ্ধাদের গুণমান এবং প্রযুক্তির দিকে নজর রাখছিল, তবে বিমানের সংখ্যা এখনও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নয়াদিল্লিতে আকাশ অফিসার্স মেসে আসন্ন এয়ার ফোর্স ডে প্যারেডের উপর একটি সংবাদ সম্মেলনে   চীন ও পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ক্রমবর্ধমান শক্তির কথা স্বীকার করেন। বলেন, তার ৪২টি ফাইটার স্কোয়াড্রনের অনুমোদিত শক্তি পর্যালোচনার কোনও প্রশ্নই নেই, যদিও এ সংখ্যা বর্তমানে কমেছে ৩১টিতে। দি প্রিন্ট

আগামী ১৫ বছরে, ভারতের বাকি তিনটি মিগ ২১ বাইসন স্কোয়াড্রন পর্যায়ক্রমে আউট হয়ে যাবে, তারপর বয়সী জাগুয়ারের ছয়টি স্কোয়াড্রন অবসর নিতে শুরু করবে, চলমান এ প্রক্রিয়া ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে শেষ হবে। তখনই মিরেজ ২০০০ এবং মিগ ২৯-এর আপগ্রেড করা বহরও পর্যায়ক্রমে বের হতে শুরু করবে। তাই ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, এসব বিমান আগামী দশকের মাঝামাঝি নাগাদ বাতিল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আইএএফ ইতিমধ্যে ৮৩টি এলসিএ তেজস এমকে ১জি অর্ডার করেছে এবং তেজস এমকে ২-এর পাশাপাশি দেশীয় ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলির জন্য একটি অর্ডার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যে দুটিই এখনও ডিজাইনের পর্যায়ে রয়েছে। 

ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, ১১৪ মিডিয়াম রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্টের জন্য প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তাগুলিকে দৃঢ় করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল, এজন্যে আরেকিটি প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হবে। দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডার ঝুলে আছে। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল যে সরকার একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং আরও রাফালের জন্য ফ্রান্সের সাথে সরকারী চুক্তিতে প্রবেশ করতে পারে, প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা সংস্থার সূত্রগুলি বলেছে যে মূল চুক্তিকে ঘিরে বিতর্ক সরকারকে সতর্ক করেছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, তার বাহিনীর দেশীয়করণের উপাদান সম্পর্কে বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এমনকি বিমান সংগ্রহের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা কোনও ত্রুটি বা সময় বিলম্ব ছাড়াই ঘটে থাকে, তবে ২০৩৫-৩৬ সালের মধ্যে ৪২টির অনুমোদিত শক্তির বিপরীতে প্রায় ৩৫টি স্কোয়াড্রনে পৌঁছতে পারে। তিনি বলেন, এই পর্যায়ে, আমাদের যা আছে তা গ্রহণ করা অনুচিত হবে। একটি বৃহৎ ভৌগলিক এলাকায় কাজ করার ক্ষমতা এবং অধ্যবসায় যা ২৪ ঘন্টা এয়ার টহল পরিচালনা করার ক্ষমতাকে বোঝায় এবং এর জন্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিমান গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য। 

ভারতীয় বিমান বাহিনীর ভাইস চিফ এয়ার মার্শাল সন্দীপ সিং, পাকিস্তানি এবং চীনা উভয় বিমান বাহিনীর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে যখন বৃহৎ ভৌগোলিক এলাকায় কাজ করা এবং বড় সংখ্যার সাথে বিরোধীদের মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বিমানের সংখ্যাগুলির দিকে নজর দেওয়া ভীষণ প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা চীনের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে যেতে চাই না তবে আমাদের এটির ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এটি একটি জটিল পরিস্থিতি এবং বিমানের সংখ্যা অবশ্যই কমানো যাবে না। 

এছাড়া খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে ভারতে অনেক বিমান অকার্যকর হয়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে মিগ-২১ বিমানকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহর থেকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরফলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফাইটার স্কোয়াড্রনের শক্তি ৩১-এ নেমে এসেছে। প্রকৃত অর্থে, ৩১টি স্কোয়াড্রন বলতে ‘৩১টি স্কোয়াড্রন’ বোঝায় না কারণ কিছু বিমানের প্রাপ্যতা অনুপাত ৫০ শতাংশের কম রয়েছে। এর মানে একটি নির্দিষ্ট দিনে, বিমানের প্রকৃত প্রাপ্যতা কম কারণ বেশিরভাগই পরিষেবার জন্য বা খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে দ্য প্রিন্ট রিপোর্ট করেএমনকি সেরা পরিস্থিতিতেও ২০৪২ সালের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনী তার অনুমোদিত ৪২ স্কোয়াড্রনের শক্তিতে পৌঁছাবে না। অর্থাৎ, যদি বাহিনীটি তেজস মার্ক ২, দেশীয় ৫ম প্রজন্মের অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের ঘাটতি বিবেচনা করে এবং ১১৪টি ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট যার জন্য একটি রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল এখনও প্রতীক্ষিত।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়