রাশিদুল ইসলাম: নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দোনেস্ক অঞ্চলের লিম্যান শহরের পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযানে মুখে রুশ সেনারা শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর রোববার এটির স্বাধীন হওয়ার খবর দিলেন জেলেনস্কি। আরটি
এর একদিন আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছিল, তারা লিম্যান শহরটি পুনরুদ্ধার করেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পরপরই লিম্যানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল রাশিয়ার সেনারা। ফলে এই শহর হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে রাশিয়ার জন্য একটি বিপর্যয় হিসেবে মনে করা হচ্ছে। লিম্যান শহরটি দোনেস্কে অবস্থিত।
এদিকে ন্যাটো জোটভুক্ত ৯টি দেশের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে ইউক্রেনকে জোটটির সদস্য করে নিতে আহবান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ইউক্রেনকে আরো সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির আহবান জানান। ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি জানান। ন্যাটের এই ৯টি সদস্য দেশের নেতারা ইতিমধ্যে কিয়েভ সফর করেছেন। ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষা ও তার সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসব দেশের নেতারা বলেন আমরা রুশ আগ্রসনকে কখনোই মেনে নেব না। দেশগুলো হচ্ছে চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নথ্য মেসোডেনিয়া, মন্টেনিগ্রো, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও রুমানিয়া।
অন্যদিকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড পেত্রাউস বলেছেন রাশিয়া যদি পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে মস্কোর সামরিক বাহিনী ও রুশ ঘাঁটিগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ন্যাটোর নেতৃস্থানীয় দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে মোকাবেলা করছে। ক্রিমিয়া ও কৃষ্ণ সাগরের দিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তিনি বলেন পারমানবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের উচিত হবে না পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করা তবে মস্কোর দম্ভোক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :