রাশিদুল ইসলাম: জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় অজ্ঞাত গেরিলা হামলায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ-এর এক জওয়ান আহত হয়েছেন। আহত জওয়ানকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, আজ সোপিয়ানে গেরিলাদের ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নাসির আহমেদ ভাট নামে একজন গেরিলা নিহত হয়েছে। পারসটুডে
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বলছে, রোববার সন্ত্রাসীরা পুলওয়ামার পিঙ্গলানাতে সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ তল্লাশি টিমের উপর গুলিবর্ষণ করে। নিরাপত্তা বাহিনী সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে এটি ছিল দ্বিতীয় গেরিলা হামলা। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে সোপিয়ানে গেরিলাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এক গেরিলা নিহত হয়। নিহত গেরিলার নাম নাসির আহমেদ ভাট, যিনি নওপোরা বসকুচানের বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, নিহত সন্ত্রাসী লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সাথে যুক্ত ছিল৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এডিজিপি বলেন, নিহত লস্কর সন্ত্রাসীর কাছ থেকে গোলাবারুদ, পিস্তল, একে রাইফেলসহ অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধে জড়িত ছিল এবং সম্প্রতি একটি এনকাউন্টার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান ওমর আবদুল্লাহ গেরিলা হামলা প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেছেন, ‘ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে, আমি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সদস্যের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি যিনি আজ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। আমি আহত সিআরপিএফ জওয়ানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বারামুল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই গেরিলার মৃত্যু হয়েছিল। সে সময়ে কাশ্মীর জোনের এডিজিপি বিজয় কুমার বলেছিলেন, উভয়েই স্থানীয় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মাদের সাথে যুক্ত ছিল। এছাড়া সোপিয়ানেও নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের ঘিরে ফেলেছিল, কিন্তু তারা পালিয়ে গিয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :