ইমরুল শাহেদ: মিয়ানমারের একটি বিমান রাজধানী নেপিদো থেকে এক হাজার কিলোমিটার উপর দিয়ে কায়া রাজ্যে যাওয়ার পথে গুলির আঘাত পায়। এতে একজন যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বিমানটির কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জান্তা সরকার বলেছে, তারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। আল-জাজিরা
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পূর্ব কায়াহ রাজ্যের রাজধানী লোইকাউতে অবতরণের প্রস্তুতির সময় মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে একজন যাত্রীর মুখে আঘাত করে বিমানের কেবিনের ভেতর দিয়ে গুলি চলে যায়। এ সময় বিমানে ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন।
সরকারের মুখপাত্র মে. জে. জো মিন তুনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ জানিয়েছে, ‘যদিও বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে....ক্রুদের দক্ষতায় বিমানটি সফলভাবেই অবতরণ করেছে।’
তিনি বেসামরিক বিমানে হামলাকে ‘একটা সামরিক অপরাধ, একটা অপরাধের কাজ’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলতে চাই তাহলো যেসব গ্রুপ এ ধরনের কাজ করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াই উচিত।’
বিমানটি যেখানে হামলার শিকার হয় সে এলাকাটি লোইকাউ বিমানবন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। সরকার এজন্য দোষারোপ করছে কারেন্নি ন্যাশনাল প্রোগ্রেসিভ পার্টিকে। তারা হলো জাতিগোষ্ঠী বিদ্রোহী গ্রুপ।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বিমানটির গায়ে গুলির আঘাত দেখা যায়। এই ঘটনার পর মিয়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইনসের লোইকাউ কার্যালয় ঘোষণা করে যে, সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
আইএস/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :