ইমরুল শাহেদ: পাকিস্তানের সাইবার নিরাপত্তা ব্যূহ ভেদ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কিছু অডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মুসলিম লীগ (নওয়াজ) সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সদস্যদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
জিওটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ইতোমধ্যে অডিও ফাঁস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।
একটি অডিও ক্লিপে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, আইনমন্ত্রী আজম তারার, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল এবং অর্থ সংক্রান্ত মন্ত্রী আয়াজ সাদিকের কথা বলতে শোনা যায় অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইলকে নিয়ে। এর মধ্যে আরো রয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের পার্লামেন্ট সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়টি।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার বা মুসলিম লীগের (নওয়াজ) পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী ওই অডিও শেয়ার করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ডার্ক ওয়েবে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তানের অফিসের তথ্য বিক্রির জন্য পেশ করা হয়েছে, এরমধ্য দিয়ে আমাদের দেশের সাইবার নিরাপত্তার পরিস্থিতি কী তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। এটা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে আইবির বড় ব্যর্থতা। রাজনৈতিক বিষয় ছাড়াও নিরাপত্তা ও বিদেশ সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এখন সবার হাতে।’
প্রশ্ন হচ্ছে, এসব কথোপকথন রেকর্ড করল কে? আর এটা অনলাইনে এলোই বা কিভাবে? পাকিস্তানের সাইবার নিরাপত্তা কতটা শক্তিশালী তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
অডিওগুলো ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রেকর্ড করা তথ্যের অংশ, ডার্ক ওয়েব হ্যাকিং ফোরামে ৩০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি দাম উঠেছিল এর। ওপেন সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স ইনসাইডার দাবি করেছে যে এটি কোনো ফোন কথোপকথন নয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রেকর্ড করা একটি কথোপকথন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ত্রুটি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :