ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতির মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি পেতে প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। রোববার প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্ত ভিডিওবার্তায় তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নেতানিয়াহু বলেন, “আমি মামলা থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আমার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে চিঠিটি প্রেসিডেন্টের দপ্তরে জমা দিয়েছেন।”
প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানায়, চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হেরজগ একে “অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্ময়কর অনুরোধ” বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নেতানিয়াহুর ভিডিওবার্তা প্রকাশের পরপরই তেল আবিবসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা ‘নেতানিয়াহুকে ক্ষমা নয়’ স্লোগান দিতে থাকেন। অনেকেই নেতানিয়াহুর ব্যঙ্গাত্মক কুশপুতুল নিয়ে আসেন।
বিক্ষোভে অংশ নেন পার্লামেন্ট নেসেটের বিরোধী এমপি নামা লাজিমি। তিনি বলেন, “যদি প্রেসিডেন্ট এই অনুরোধে সাড়া দেন, তাহলে ইসরাইল একটি প্রকৃত বানানা রিপাবলিকে পরিণত হবে।”
ইসরাইলের মানবাধিকার কর্মী শিকমা ব্রেসলার বলেন, “নেতানিয়াহু দেশকে ভেঙে দিয়েছেন। কোনো দায় না নিয়ে এখন তিনি বিচার থেকে পালাতে চান, এটি জনগণ মেনে নেবে না।”
বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেন, “নেতানিয়াহু এখনো নিজের অপরাধ স্বীকার করেননি। তার উচিত রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো। এখানে ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই।”
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে তিন মামলার বিচার চলছে
জেরুজালেম জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতি মামলা চলছে। অভিযোগগুলো হলো—ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের উপহার নেওয়া, সুবিধাজনক প্রচার পেতে মিডিয়া মোগলদের অবৈধ রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়া, ইসরাইলি টেলিকম কোম্পানি বেজেককে সুবিধা দিতে ঘুষ গ্রহণ
এ মামলাগুলো ২০১৯ সাল থেকে বিচারাধীন।
সূত্র: জনকণ্ঠ