শিরোনাম
◈ সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের ইতিহাসের প্রথম একক সমাবেশ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা ◈ গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল, সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাইরে থাকার অনুমতি ◈ সেপ্টেম্বরে নেপা‌লের বিরু‌দ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, হামজা ও সামিতকে দ‌লে পাওয়ার সম্ভাবনা কম ◈ জুলাই যোদ্ধা নারীরা নতুন যুদ্ধের মুখোমুখি ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাভাষীদের টার্গেট করে অভিযানের ব্যাখ্যা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট, কেন্দ্রকে হলফনামা জমার নির্দেশ

ভারতজুড়ে বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকার কেন ‘হঠাৎ’ অভিযান শুরু করেছে—এর কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার গত জুন মাস থেকে বিশেষভাবে দেশটিতে বাংলাভাষীদের ওপর চড়াও হয়েছে। সরকারের ভাষ্য এরা ‘বাংলাদেশি’ অবৈধ অভিবাসী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট গতকাল বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকারকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলেছে। এই হলফনামায় গত জুনে দেশজুড়ে বাংলাভাষীদের ‘হঠাৎ করে’ বেআইনি বাংলাদেশি অভিবাসী সন্দেহে টার্গেট করে চালানো তল্লাশির যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ওডিশায় বাংলাভাষী অভিবাসীদের তথাকথিত বেআইনি আটক ও ছয়জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করার ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক হেবিয়াস করপাস মামলার শুনানি হচ্ছিল। এ সময় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘এর পেছনে কী কারণ ছিল? এটি কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল?’

আদালত বলেন, ‘এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে, না হলে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। এটি বেআইনি কর্মকাণ্ডও হতে পারে। অভিযোগ উঠেছে, শুধু বাংলা বলার কারণে মানুষকে বাংলাদেশে বেআইনিভাবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’ এ সময় বীরভূমের এক পরিবারের তিন সদস্যকে বাংলাদেশে পাঠানোর ঘটনায়ও রাজ্য সরকার ও দিল্লি পুলিশকেও হলফনামা দিতে বলেন আদালত।

রাজ্যপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় কথা বলা মানেই কাউকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সন্দেহ করার সুযোগ নেই। শুধু বাংলা বলার কারণে কাউকে আটক বা দেশ থেকে বের করে দেওয়া যায় না। এটার জন্য একটি নির্ধারিত পদ্ধতি রয়েছে।’ তিনি জানতে চান, কতজনকে এভাবে আটক বা ফেরত পাঠানো হয়েছে।

দিল্লি পুলিশের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, বাংলা বলার কারণে কাউকে ফেরত পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সেখান থেকে প্রায় ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলা বলতেন। তবে পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

কেন্দ্র সরকারের আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন, ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারির পর হেবিয়াস করপাস মামলা করা যায় কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দিল্লি ও কলকাতা দুই জায়গাতেই একই ধরনের হেবিয়াস করপাস মামলা দায়ের হওয়া নিয়েও আদালতে বিতর্ক হয়। আবেদনকারীদের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী জানান, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের আত্মীয়রা দিল্লি হাইকোর্টে চলা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

এই বক্তব্যের জবাবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘চালাকি করার চেষ্টা করবেন না। অন্য কোথাও আগে মামলা হয়েছে কি না, তা জানা কি আপনাদের দায়িত্ব নয়? আপনারা কি ভাবেন, আমাদের আদেশ কাগজের টুকরো? এটা কেমন আচরণ?’ সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়