ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো থেকে খুব বেশি দূরে নয় পারস্য উপসাগরীয় (গালফ স্টেটস) দেশগুলো। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের রাষ্ট্রদূতরা।
কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূতরা ভিয়েনায় এক বৈঠকে গ্রোসিকে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার ‘বিপজ্জনক পরিণতি’ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তারা (রাষ্ট্রদূতরা) পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার মানবিক এবং পরিবেশগত উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। কারণ এটি রেডিওলজিক্যাল নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকি এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাশিয়ার নির্মিত বুশেহর স্থাপনায় হামলা চালানোর কথা বলার পর এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুশেহর হলো ইরানের একমাত্র কার্যকর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা উপসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত।
কেন্দ্রটিতে হামলার সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে, বায়ু এবং পানি দূষণ- উপসাগরীয় দেশগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই এটি উদ্বেগের বিষয়।
গত শুক্রবার গ্রোসি বলেছিলেন, বুশেহরে হামলা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সেখানে হাজার হাজার কিলোগ্রাম পারমাণবিক পদার্থ রয়েছে। এর জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়েক শ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা জনসংখ্যা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করতে হবে। যার মধ্যে অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর জনসংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত।