শিরোনাম
◈ আইন সংশোধন, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও প্রশিক্ষণে আটকে নির্বাচন পরিকল্পনা ◈ খামেনির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পনা বন্ধ করলেন ট্রাম্প? ◈ ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন মাইলফলক: সার্টিফিকেট সত্যায়ন এখন অনলাইনেই (ভিডিও) ◈ রাতের আকাশে আগুন! ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে কাঁপছে ইসরায়েল ◈ ইসরায়েলে আঘাত করা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ অধ্যাপক ইউনূসের যুক্তরাজ্যে 'সরকারি সফর' থেকে কী অর্জন হলো ◈ ইরানে বিদ্রোহের ইঙ্গিত সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভির: ইসরায়েল-যুদ্ধ পরবর্তী ‘রেজিম চেঞ্জ’ পরিকল্পনার আভাস ◈ ভুটানসহ আরও ৩৬ দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, বাকি দেশ গুলোর নাম হলো ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার আসল কারণ যা জানাগেল! ◈ ইরান প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২৫, ০৮:১৭ রাত
আপডেট : ১৩ জুন, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এভারেস্টের পাদদেশে কিং কোবরার হানা: জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ বার্তা দিচ্ছে নেপালের পার্বত্য অঞ্চল

এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের সময় পদে পদে নানা বিপদকে অতিক্রম করে যেতে হয় পর্বতারোহীদের। তুষারঝড়, তুষার ধসের ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনই জলবায়ু পরিবর্তন এবং দূষণও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার তাঁদের বিপদের খাতায় নতুন যোগ হয়েছে সাপ।

ঠান্ডা মৌসুমে সাধারণত শীতনিদ্রায় যায় বিষাক্ত সাপ। ঋতু বদলের পর যখন আবারও উষ্ণ হয়ে ওঠে প্রকৃতি তখনই এরা নতুন শিকারের সন্ধানে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্রকৃতির এই চিরাচরিত হিসেবটিও যেন বদলে যাচ্ছে। এভারেস্টের মতো একটি শীতল অঞ্চলেও এখন সাপের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তাও আবার সাধারণ কোনো সাপ নয়, পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ কিং কোবরার দেখা মিলছে সেখানে।

সম্প্রতি কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, এভারেস্টের কাছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গত এক মাসে ১০-১২টি বিষধর সাপ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাপই ছিল কিং কোবরা, আরেকটি ছিল মোনোক্লেড কোবরা।

সাধারণত জলাভূমিতে বা খাল-বিলের কাছাকাছি এলাকাতেই এই ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ বন, ধানের ক্ষেতেও এদের দেখা পাওয়া যায়। তাই মাউন্ট এভারেস্ট সংলগ্ন ঠান্ডা জায়গায় একের পর এক সাপ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এটি অনেকেই ভয়ংকর বিপদের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। মাউন্ট এভারেস্টের নিকটবর্তী অঞ্চলে কিং কোবরার মতো বিষধর সাপের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, তাদের আশ্রয়স্থল বদলের সংযোগ দেখছেন পরিবেশবিদেরা।

কাঠমান্ডু পোস্টের তথ্য অনুযায়ী—গোপালেশ্বর, সোখোল, ফুলচকের মতো পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সাপগুলোর খোঁজ মিলেছে। কোথাও বাড়ির উঠোনে, আবার কোথায় বসতির ভেতরেই ছিল উদ্ধার করা সাপগুলো। বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হলে, তারা এগুলোকে উদ্ধার করে আবারও জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গলেও কিং কোবরার ডিম দেখেছেন তাঁরা। সেখানে সাপের বাসা চোখে পড়েছে।

পরিবেশবিদদের একাংশ মনে করেন, এটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। ঠান্ডা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে কিং কোবরার মতো বিষধর সাপ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এমন ঘটছে। অন্যান্য এলাকায় তাপমাত্রা এত বেড়ে গেছে যে, সেখানে এসব সাপ টিকতে পারছে না। আবার ঠান্ডা জায়গায়গুলোও আগের মতো ঠান্ডা থাকছে না। এর ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে আসছে বিষধর সাপগুলো।

নেপালের পার্বত্য অঞ্চলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর নেপালের তরাই অঞ্চলে সাপের কামড়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই থাকেন নারী ও শিশু। বন থেকে কাঠ এবং খড় বোঝাই করে আনার সময় গাড়িতে সাপ উঠে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। অনুবাদ : আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়