শিরোনাম
◈ সৌদি আরবের ‘পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নয়, নারীদের জন্য নরক: গোপন বন্দিশালায় নির্যাতন-নির্ভর শাসনের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস ◈ দায়িত্ব পেলে আজই হতো ইশরাকের মেয়র পদের শেষ দিন! ◈ এবার ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার! ◈ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন জামায়াত আমির ◈ দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে দু-মুখো সাপ লিখে ছাত্রলীগ সভাপতির নেতার পোস্ট! ◈ নিউ ইয়র্ক, দিল্লি কিংবা বেজিং নয়, জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম শহর জাপা‌নের টো‌কিও ◈ খেলার মা‌ঠে ভুল করা বাংলাদেশের রুটিন হয়ে গেছে: রমিজ রাজা ◈ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ ◈ বড় প‌রিবর্তন আস‌ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বোলাররা পা‌বেন বাড়তি সুবিধা

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ১২:৫০ রাত
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নেতানিয়াহুর দাবি, গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের গাজা শাখার প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, গত দুই দিনে আমরা হামাসকে পরাজিত করার এক নাটকীয় মোড়ে পৌঁছেছি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মোহাম্মদ সিনওয়ার হলেন গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই। নেতানিয়াহুর ভাষ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদকে চলতি মে মাসের শুরুর দিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালে চালানো বিমান হামলায় নিশানা করা হয়।

তবে হামাস এখনও মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। এর আগেও ইসরায়েল একাধিকবার সিনওয়ারের মৃত্যুর দাবি করলেও পরে তা নিশ্চিত করা যায়নি।

নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে গত ২০ মাসে নিহত অন্যান্য শীর্ষ হামাস নেতাদের নাম উল্লেখ করেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ইরানে নিহত ইসমাইল হানিয়েহর পর হামাসের সামগ্রিক নেতৃত্বে আসেন ইয়াহিয়া।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন খাদ্য সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থারও নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছি। তিনি গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি নতুন মানবিক সাহায্য বণ্টন পদ্ধতির কথা বোঝাতে এ মন্তব্য করেন।

নেতানিয়াহুর এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলা জোরদার করেছে। গত মার্চে স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় যুদ্ধ শুরু করে তারা। ইসরায়েল বলছে, তারা হামাসের শাসন ও সামরিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিতে চায় এবং গাজায় আটক রাখা জিম্মিদের মুক্ত করতে চায়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও মিত্র গোষ্ঠীগুলো গাজা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে। তাদের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। পাশাপাশি ২৫০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল  গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায়। গাজার স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ২১ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।

গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক হলেও কতজন যোদ্ধা নিহত হয়েছে সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ‘হাজার হাজার’ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, যদিও এর পক্ষে তারা কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

গত ২৬ মে ইসরায়েলের সামরিক প্রধান এয়াল জমির বলেন, হামাস তাদের অনেক অস্ত্রাগার, কৌশলগত কেন্দ্র ও কমান্ড কাঠামো হারিয়েছে।

মোহাম্মদ সিনওয়ারকে গত বছর হামাসের গাজা শাখার নেতৃত্বে আনা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর। ইয়াহিয়া ছিলেন ২০২৩ সালের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও ইরানে নিহত ইসমাইল হানিয়েহর উত্তরসূরি।

ইসরায়েলের এ দাবি সত্য হলে, এটি হামাসের জন্য এক বড় ধাক্কা হতে পারে। তবে গাজায় যুদ্ধের অবসান আসন্ন কি না—তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়