শিরোনাম
◈ জামিনে বের হয়ে সাক্ষীসহ ৫ জনকে ‘কোপাল’ হত্যার আসামি ◈ আগস্টে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করবে সরকার ◈ চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডে আজ রাতে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ আটকে রাখা তিন কার্গো, বাণিজ্যে ‘ভাগ’ চায় আরাকান আর্মি! ◈ আগস্ট মাসে নির্বাচন চান রাজনীতিবিদরা, কিন্তু কতটা যৌক্তিক ◈ শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ সন্তানদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্যই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ◈ ১৮ দিনে এলো ১৪৭২৩ কোটি টাকা, ৯টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স ◈ বিস্ফোরণে দগ্ধ  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী মারা গেছেন  ◈ ফল প্রকাশ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার 

প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মণিপুরে আশ্রয় নেওয়া মায়ানমারের ২৬ জন শরণার্থীকে ফেরত পাঠিয়ে দিল ভারত

ভারত-মায়ানমার সীমান্তে শরণার্থী হস্তান্তরের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট দখল করেছিল বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ।

মায়ানমারের চিন প্রদেশে জুন্টা সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের বাহিনীর সংঘর্ষ শুরুর পরে প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে আশ্রয় নিয়েছিলেন ওঁরা। মঙ্গলবার এমনই ২৬ জনকে মোরে সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। তাঁদের মধ্যে দু’জন রোহিঙ্গা আছেন বলেও মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’র দাবি।

ভারত-মায়ানমার সীমান্তে শরণার্থী হস্তান্তরের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট দখল করেছিল বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ। এর এক সপ্তাহ মণিপুর সীমান্তবর্তী চিন প্রদেশের বড় অংশও বিদ্রোহীদের দখলে গিয়েছে। জুন্টাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে ‘দ্য ইরাওয়াদি’র দাবি। তবে মণিপুর সীমান্তবর্তী চিন প্রদেশের কিছু অংশ এখনও জুন্টা সেনার দখলে। সেই ‘পথ’ দিয়েই ফেরত পাঠানো হয় শরণার্থীদের।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মায়ানমার সেনা। শুরু হয়েছিল সামরিক জুন্টার শাসন। তার আড়াই বছরের মাথায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ এবং তাদের সশস্ত্র শাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানায়। বিদ্রোহীদের মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী ‘দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি’ (ইউডব্লিউএসপি) ইতিমধ্যেই কয়েকটি ‘মুক্ত’ এলাকায় সমান্তরাল সরকার চালানো শুরু করে দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়