সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] মাকিন ম্যাগাজিন ফরেন এফেয়ার্স ম্যাগাজিন শুক্রবার এমন মন্তব্য করেছে। সংবাদ মাধ্যমটি বলেছে, হামাস গত ৭ অক্টোবরের থেকে এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়। সূত্র: মিডলইস্টমনিটর
[৩] ম্যাগাজিনটি লিখেছে, নয় মাস ধরে ভয়াবহ যুদ্ধ চলার পর এখন কঠিন বাস্তবতার স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। তাহলো: ‘হামাসকে পরাজিত করার কোন সামরিক সমাধান নেই। হামাস পরাজিত হয়নি এবং তাদের পরাজয়ের কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।’
[৪] ফরেন এফেয়ার্স ম্যাগাজিন আরও লিখেছে, ইসরায়েল গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার সেনা সেখানে যুদ্ধ করছে। ইসরায়েলে গাজায় অন্তত ৭০ টন বোমা ফেলেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লন্ডন, ড্রেসডেন ও হামবুর্গে ফেলা মোট বোমার চেয়েও অনেক বেশি।
[৫] এ বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে উপত্যকাটির ৮০ ভাগ বাড়িঘর ও অবকাঠামো। বাস্তচ্যূত সেখানকার প্রায় সব ফিলিস্তিনি। নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন সাড়ে ৮৫ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় চলছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ অবস্থা। নেই খাবার, পানি, বিদ্যুৎ, ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধা।
[৬] ম্যাগাজিনটি লিখেছে, ভিয়েতনামে যেমন আমেরিকা ব্যর্থ ও পরাজিত হয়েছে ইসরায়েলও গাজায় সেই পরিণতি ভোগ করতে যাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনারা রাজনৈতিকও নৈতিক সীমা লংঘণ করে সামরিক শক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার করে যাচ্ছে। তারা হামাসের শক্তির উৎস সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে ভুগছে।
[৭] পত্রিকাটি বলেছে, ইসরায়েলের বড় ব্যর্থতা হল, তারা একথা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে যে, তাদের ধ্বংস ও হত্যাকান্ড কেবল তাদের শত্রু হামাসকে আরও শক্তিশালী করেছে।
[৮] ম্যাগাজিনটি লিখেছে, হামাস এখনও ইসরায়েলে হামলা চালাতে সক্ষম। তাদের রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার চলমান যোদ্ধা যা ৭ অক্টোবরের চেয়ে তিন গুণ বেশি।
এসআই/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :