শিরোনাম
◈ মধ্যরাতে গ্রেফতার ব্যারিস্টার সুমন (ভিডিও) ◈ অক্টোবরেও ঊর্ধ্বমুখী  রেমিট্যান্সের গতি ◈ বাতিল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প  ◈ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে ◈ ‘আমি কোন দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নিই’: (ভিডিও) ◈ ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা প্রশ্নে যা বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল (ভিডিও) ◈ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেননি: মানবজমিন সম্পাদক (ভিডিও) ◈ দিল্লি থেকে মীরাটের সেনানিবাসে শেখ হাসিনা?

প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২৪, ১২:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২৪, ১২:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তেল আবিবের রাজপথে ফের নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

রাশিদুল ইসলাম: [২] যুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজপথের বিক্ষোভে অংশ নেন বিক্ষোভকারীরা। তেল আবিবের রাজপথে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। স্থানীয় সময় শনিবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। টাইমস অব ইসরায়েল

[৩] বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলে নতুন নির্বাচন এবং গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরুর আট মাস পেরিয়ে গেছে। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের শহরগুলোয় বিক্ষোভ হয়ে আসছে। কার্যত এধরনের বিক্ষোভ চলছে মাসের পর মাস এমনকি কয়েক বছর ধরে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়েছে তার বাড়ির সামনেই। 

[৪] অনেক বিক্ষোভকারী ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ ও ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন। শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেন সাই এরেল। তার বয়স ৬৬ বছর। পেশায় একজন ঠিকাদার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার নাতিনাতনির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাই আমি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি। এখন আমরা যদি বের হয়ে না আসি আর ভয়ংকর এই সরকারের কবল থেকে পরিত্রাণ না পাই, তাহলে তাদের (শিশুদের) কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’

[৫] ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ জানিয়ে এরেল বলেন, ‘নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) সব ইঁদুর বসে আছে। আমি তাদের মধ্যে কাউকে কিন্ডারগার্টেনের পাহারাদার হতে দিতে পারি না।’

[৬] সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী সংগঠন ‘হোফশি ইসরায়েল’ বলছে, দেড় লাখের বেশি মানুষ এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এটা ইসরায়েলে হওয়া বড় বিক্ষোভগুলোর একটি।

[৭] তেল আবিবের গণতন্ত্র চত্বরে বিক্ষোভকারীদের অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এর আগে সেখানকার মাটি লাল রং করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, নেতানিয়াহুর হাতে আজ ইসরায়েলের গণতন্ত্র এভাবেই হত্যার শিকার হয়েছে।

[৮] জমায়েতে যোগ দেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার সাবেক প্রধান ইউভাল দিসকিন। এ সময় তিনি বলেন, নেতানিয়াহু দেশের সবচেয়ে বাজে প্রধানমন্ত্রী।

[৯] ৫০ বছর বয়সী ইয়োরাম পেশার একজন ট্যুর গাইড। শনিবারের বিক্ষোভে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহান্তে বিক্ষোভে আসেন তিনি। নেতানিয়াহুর কারণে ইসরায়েলে নির্বাচন দরকার।

[১০] ইয়োরাম আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে। আর আমরা যদি ২০২৬ সালের নির্বাচনের তারিখের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকি, তাহলে সেটা আর গণতান্ত্রিক কোনো নির্বাচন হবে না।’

[১১] এদিকে শনিবার রাতে তেল আবিবের রাজপথে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করেন হামাসের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের হাজারো স্বজন ও সমর্থক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়