সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইসরায়েলের চরমপন্থী মন্ত্রীরা গাজাকে পুণর্দখল করা এবং ফিলিস্তিনিদেরকে ‘স্বেচ্ছায় অন্যত্র চলে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা
[৩] গত মঙ্গলবার ফিলিস্তিন দখলের ৭৬তম দিন বা ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠানের বক্তৃতার সময় উগ্রইহুদীবাদী মন্ত্রীরা এমন আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনিরা এদিনটিকে নকবা বা মহাবিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন।
[৪] ১৯৪৮ সালের এদিনে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের হাজার হাজার বছরের মাতৃভূমি ফিলিস্তিন থেকে জোরকরে উচ্ছেদ করেছিল। ইহুদী সন্ত্রাসবাদীরা অস্ত্রের মুখে সহিংস পন্থায় ফিলিস্তিনকে দখল করে সেই ভূমিকে ইসরায়েলি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে।
[৫] গাজায় প্রচন্ড যুদ্ধ চলার মধ্যে দখলদার ইসরায়েলের লোকেরা মঙ্গলবার পার্কগুলোতে জড়ো হয়ে বার্বিকিউ খেয়ে তাদের দেশের স্বাধীনতার দিনটি উদযাপন করেন। তবে গাজায় যুদ্ধের কারণে এবারের ইসরায়েলি স্বাধীনতা দিবসটি অনেকটা নিঃশব্দে পালিত হয়।
[৬] এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তর জাবালিয়া ও দক্ষিনের রাফাহতে প্রচন্ড হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাফাহ’র আরও গভীর অভ্যন্তরে হামলা সম্প্রসারণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। উভয় স্থানে প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচন্ড লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
[৭] জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার করণে গত কয়েক দিনে ৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহ ও উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে গেছেন। এর মধ্যে রাফাহ থেকেই পালিয়েছে সাড়ে ৪ লাখ ফিলিস্তিনি। আর জাবালিয়া থেকে ১ লাখ।
[৮] গাজার দুটি প্রধান বর্ডার ক্রসিং দিয়ে কোনো ত্রাণ গত সপ্তাহে প্রবেশ করেনি। সেখানে ১১ লাখ মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য অভাবে দিনকাল কাটাচ্ছেন। তারা এখন দুর্ভিক্ষের প্রান্তসীমায় এসে দাঁড়িয়েছেন। জাতিসংঘ বলেছে, গাজার উত্তরে এখন সর্বাত্মক দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :