রাশিদুল ইসলাম: [২] ভারতের দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি পদত্যাগ করেছেন। রোববার পদত্যাগ করেন লাভলি। পদত্যাগের কারণ হিসেবে দলীয় নেতার সঙ্গে বিরোধের কথা উল্লেখ করে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৩] আনন্দবাজার বলছে, গত বছরের আগস্টে লাভলিকে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। তখন তিনি অনিল চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
[৪] ২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন দিল্লির কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন লাভলি। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান। ২০২৮ সালে তিনি আবার কংগ্রেসে ফেরেন।
[৫] এনডিটিভির খবরে বলা হয়, জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেওয়া চিঠিতে লাভলি বলেছেন, তিনি যেহেতু দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না, তাই তিনি এই ইউনিটের প্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না।
[৬] ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দেওয়া চিঠিতে লাভলি বলেছেন, দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট এমন একটি দলের (এএপি) সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধে ছিল, যেটি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও অবিশ্বাস্য সব দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গঠিত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস দিল্লিতে এএপির সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নেয়।
[৭] লাভলি অভিযোগ করেছেন, দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে তার নেওয়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে ভেটো দিয়েছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক (দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত)।
[৮] লাভলি আরও বলেছেন, দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তাকে এই শাখায় কোনো বড় পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক (দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত)।
আপনার মতামত লিখুন :