বেশি খরচ করে ফাইভজি হ্যান্ডসেট ও ডেটা প্যাক কিনেও অনেকেই কাঙ্ক্ষিত গতি পান না ইন্টারনেটে। অথচ একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা সহজে এড়ানো সম্ভব। কারণ, উচ্চগতির নেট নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনে কিছু প্রাথমিক সেটিংস সঠিকভাবে ঠিক করে নেওয়া জরুরি। ভুল নেটওয়ার্ক মোড কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ চলা—এই সাধারণ বিষয়গুলোই হতে পারে ধীরগতির অন্যতম কারণ।
ইন্টারনেটে গতি নিশ্চিতে প্রথমেই ঠিকঠাক নেটওয়ার্ক বেছে নিতে হবে। স্মার্টফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে প্রথমে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপশনে যেতে হবে। তারপর সিমকার্ড নির্বাচন করতে হবে। ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা সত্ত্বেও ইন্টারনেটে ধীরগতি পেলে এখান থেকে এলটিই, ফাইভজি বা ফোরজি অপশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করতে হবে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ সক্রিয় থাকলে ডিভাইসের ইন্টারনেট গতি ধীর হয়ে যায়। কারণ, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা সব অ্যাপ ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করে। প্রথমেই ফোনের রিসেন্ট অ্যাপ মেন্যু থেকে অপ্রয়োজনীয় সবকটি অ্যাপ বন্ধ করে দিতে হবে। যেসব অ্যাপ নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না, তা নির্বাচন করে ডিলিট করে ফেলতে হবে।
অন্যদিকে, গুগল ম্যাপ ছাড়াও লোকেশন পরিষেবার সব অ্যাপ ফোনের অতিরিক্ত ডেটা খরচ করে। লোকেশন অন থাকলে এসব অ্যাপ খোলা না থাকলেও তথ্য সংগ্রহের জন্য ডেটা ব্যবহার করে। কন্ট্রোল প্যানেল বা সেটিংস থেকে লোকেশন অপশন বন্ধ করে দিতে হবে।
ডিভাইসে প্রয়োজনের সবকটি সফটওয়্যার আপডেট থাকলে ইন্টারনেটের ভালো গতি পাওয়া যায়। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ফোনের সফটওয়্যার বা অ্যাপ আপডেট করতে চান না। ইন্টারনেট গতির ওপর যার বৈরী প্রভাব পড়ে। কারণ, আপডেটের মাধ্যমে অনেক নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করতে ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পেতে এসব পরামর্শ কাজে আসবে।