শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড হবে না: দিল্লিতে ঢাকার রাষ্ট্রদূত ◈ আবারও ভাঙলো জাতীয় পার্টি ◈ লাখ ফুটবলারের পক্ষে ফিফার বিরুদ্ধে মামলা কর‌তে যা‌চ্ছে 'জা‌স্টিস ফর প্লেয়ার্স' ◈ নামজারি প্রক্রিয়ায় দেরি সহ্য নয়, সময় বেধে দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কড়া বার্তা ◈ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের সময় ড. ইউনূসের পাশে থাকা কে এই তরুণী! ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে : সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ জুলাই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের অনেকে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ◈ সাংবাদিকদের দলীয় কর্মী নয়, মানুষের কণ্ঠস্বর হতে হবে : আমীর খসরু মাহমুদ  ◈ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফরিদপুরে মধুমতী তীর রক্ষা বাঁধে ধস ◈ জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে: কাপাসিয়ায় আনন্দ মিছিলেই যুবদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৩২ রাত
আপডেট : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ক্রিকেটকে আগলেই পিতৃত্বের স্বাদ নিতে চান লো‌কেশ রাহুল

স্পোর্টস ডেস্ক : পিতৃত্ব এবং ক্রিকেট। লোকেশ রাহুল জীবনের নতুন ভারসাম্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছেন। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার কথা ভাবতে পারেন না। আবার একরত্তি মেয়েকে ছেড়ে থাকাও কঠিন। 

গত আইপিএল থেকে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় শেষে আবেগপ্রবণ রাহুলের কথায় ধরা পড়েছে জীবনের নতুন টানাপোড়েন। ---- আনন্দবাজার

আইপিএল শুরুর সময় রাহুলের মেয়ের জন্ম। সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রী অথিয়া শেট্টীর পাশে থাকার জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএলের প্রথম ম্যাচ খেলেননি। তবে সন্তানের জন্মের ঠিক দু’দিন পরেই তাঁকে বাড়ি ছাড়তে হয় আইপিএল খেলার জন্য। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রাহুল বলেছেন, ‘‘মেয়ে হওয়ার দু’দিন পরই আইপিএল খেলতে যেতে হয়। প্রতিযোগিতার মাঝে দিন দুয়েক সময় পেলেও বাড়িতে ছুটেছি মেয়ের কাছে থাকার জন্য। আবার ফিরে গিয়েছি আইপিএলের ম্যাচ খেলার জন্য। এ ভাবেই পুরো আইপিএল খেলেছি।

সন্তানের টান উপেক্ষা করা কঠিন। জীবনের নতুন অভিজ্ঞতা উপভোগ করছেন ৩৩ বছরের ক্রিকেটার। তবু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়কে গুরুত্ব দিয়ে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ইংল্যান্ডের পিচ, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে চাননি রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলার জন্য আগে চলে এসেছিলাম ইংল্যান্ডে। বাড়িতে বাড়তি কয়েক দিন থাকতে পারতাম। ওই সিদ্ধান্তটাও সহজ ছিল না। কারণ মেয়ের সঙ্গে খুব বেশি সময় কাটানোর সুযোগ হয়নি। আর ইংল্যান্ডে চলে আসা মানে দু’মাস ওকে ছেড়ে থাকতে হবে। 

তাই আগে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটা কঠিন সিদ্ধান্ত আমাকে নিতে হয়েছে। মনে হচ্ছে পেশাদার হিসাবে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। আমি অবশ্য পরিবারকেও সব সময় পাশে পেয়েছি।

স্ত্রী অথিয়ার সমর্থনের কথাও বলেছেন রাহুল। তাঁর মতে, অথিয়া ভরসা দিয়েছেন বলেই কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে পেরেছিলেন। অভিজ্ঞ ব্যাটার বলেছেন, ‘‘আমার স্ত্রী খুব সাহায্য করেছিল। সে জন্যই আসতে পেরেছিলাম। এখানে আসার পর আর মেয়েকে দেখতে পাইনি। শুধু ওর ছবি দেখি। সব সময় মেয়ের ঘরের ক্যামেরার দিকে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করি। এতে একটু নিশ্চিন্ত বোধ করি। তা ছাড়া ওর বেড়ে ওঠার প্রতিটা মুহূর্ত দেখতে চাই। তবে খেলার জন্য ব্যস্ত থাকলে, বাইরে থাকলে সব কিছু দেখার সুযোগ হয় না।’’ কথার শেষে কিছুটা হতাশ শুনিয়েছে রাহুলকে।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে ৫৩.২০ গড়ে ৫৩২ রান করেছেন রাহুল। সিরিজ়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাঁর। রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে দু’টো শতরান এবং দু’টো অর্ধশতরানের ইনিংস।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়