দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। রবিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিএনপির এ অবস্থানের কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পৃথিবীর গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে আমরা যুক্তরাজ্যের উদাহারণ দিয়ে থাকি। সেখানেও দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন। তবে কয়েকটি দেশে মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। সেটিও সরকারি দল সিদ্ধান্ত নেয় কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাই দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখা উচিত হবে বলে মনে করে বিএনপি। আশা করি, পরবর্তী আলোচনায় আমরা একমত হতে পারবো।’
বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনীতে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল তাতে কিছু পরিবর্তন আনা যায় কি না, তা নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব হাতে পেয়েছি। এটা দেখে পর্যালোচনা করে মতামত দেবে বিএনপি।’
ঐকমত্য কমিশনের নতুন খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে মঙ্গলবার আলোচনা হবে বলে জানান বিএনপির এ নেতা।
তিনি বলেন, ‘আজ মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন প্রক্রিয়া ও ক্ষমতা কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে একমত হয়েছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে উপস্থাপিত মতামতের অধিকাংশ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। দলগুলোর প্রস্তাব ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন নতুন করে প্রস্তাব তৈরি করে দলগুলোকে দিয়েছে। পরবর্তীতে আরো আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
এসময় তিনি আশা করেন, ‘এ মাসেই জুলাই সনদ ঘোষণা সম্ভব হবে।’