শিরোনাম
◈ নাটোরে মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান আটকিয়ে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট   ◈ জটিল পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া : সালাহউদ্দিন আহমেদ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধের প্রধান সমন্বয়ক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার ◈ ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক এমপির ছেলে সীমান্তে আটক ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে মালদ্বীপের ‌‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স’-এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ গাজায় কবে যুদ্ধ থামবে, জানালেন নেতানিয়াহু ◈ বিশ্বজুড়ে স্মার্ট সিটি প্রতিযোগিতা: কোন শহর এগিয়ে? ◈ হঠাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লুৎফুজ্জামান বাবর ◈ ফেব্রুয়ারিতে হবে মহোৎসবের নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা ◈ একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৬৮৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি, আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৫, ০২:১৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

নির্বাচন নিয়ে  আমরা মতামত ব্যক্ত করতে পারি, সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না : ডা. শফিকুর রহমান

মনিরুল ইসলাম: প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে ফেব্রুয়ারী বা এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো। মে - জুন মাসে আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে না। এই সময় নির্বাচনের উপযোগী নয়। ওই সময়ে নির্বাচনও হয় না। এভাবেই নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বললেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ।

মঙ্গলবার সকালে  রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তা হলো ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা ) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যে পরিষ্কার করেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়; সে অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না।

তিনি  বলেন, আমরা আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি; তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না। আমরা নির্দিষ্ট করে যদি বলেই দেই তবে সেটা সিদ্ধান্ত পর্যায়ে চলে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি, দাবি জানাতে পারি।

তিনি মিট দ্য প্রেসের শুরুতে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে তিনি আদালতের মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় শোকরিয়া আদায় করেন। তিনি তার দীর্ঘ বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরেন। কি ভাবে অন্যায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করা হয় তা জানান।

তিনি বলেন, ফ্যাসিজম নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাঁধে রয়ে গেছে। তাই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড দরকার। যাতে দেশের মানুষ নির্ভয়ে তাদের রায় প্রদান করতে পারেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন  এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই। তাই আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই ইসির সক্ষমতা প্রকাশ পাবে বলে আমরা মনে করি। 

দলের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা আমরা করিনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা- ভাবনা করছি।

তিনি ইসিকে অবিলম্বে প্রবাসীদেরকে ভোটের আওয়াতায় আনার দাবি জানান। তাদেরকে ভোটের বাইরে রেখে নির্বাচন সঠিক হবে না। তাদেরকে আমরা বলবো রেমিট্যান্স যোদ্ধা আর তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখব তা হলে কি তা সঠিক হবে।

এ সময় দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়