শিরোনাম
◈ বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক ◈ হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন ◈ আবারও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি ◈ আজ গভীর রা‌তে বা‌র্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মু‌খোমু‌খি ◈ প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বড় সুখবর দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদনকারীদের জন্য ◈ টি-টোয়েন্টি সি‌রিজ খেল‌তে পাকিস্তানে যাচ্ছে বাংলাদেশ ◈ আমার স্বামী চায় আমি খোলামেলা জামা পরি: মডেল পিয়া বিপাশা ◈ বিচারকাজে বাধা ও হুমকি: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ◈ ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ঘর হস্তান্তর: সেনাবাহিনীর দক্ষতায় অর্ধেক খরচে সফল বাস্তবায়ন

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:৪৮ বিকাল
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুরগি পশু নাকি পাখি, উত্তর খুঁজতে মামলা!

মুরগি আগে না ডিম আগে? এই বিতর্ক পুরনো। তবে আরও একটি প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এবারও বিতর্কের কেন্দ্রে সেই মুরগি। প্রশ্ন, মুরগি আসলে পশু নাকি পাখি? উত্তর খুঁজতে মামলাও দায়ের হলো আদালতে। কী জানা গেল শেষ পর্যন্ত?

মুরগি আসলে পশু। তাই মুরগি হত্যা আইনত অপরাধ। এই মর্মে আদালতে মামলা দায়ের হয়। কিন্তু বিজ্ঞান বইয়ের হিসেবে মুরগি আসলে পাখি। স্বাভাবিকভাবেই জমে ওঠে বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত বিচারপতির হস্তক্ষেপে ঘটনার নিষ্পত্তি। কিন্তু এত কিছু ছেড়ে হঠাৎ মুরগি নিয়ে আদালতে মামলা হলো কেন?

 বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে এমন অনেক ঘটনা, যা এতদিন কল্পনার বাইরে ছিল সবার। এমন ঘটনার সহজ পরিণতি বলতে, খবরের শিরোনাম দখল। সেই নিয়ে খানিক চর্চা। বেশি নয়, মাত্র কিছুদিনের। কারণ ততদিনে আবারও চলে আসবে নতুন কিছু। কিন্তু এমন ঘটনার সংখ্যাও নেহাত কম নয়, যা নিয়ে চর্চা চলে দীর্ঘদিন। মুরগি আসলে পাখি না পশু, সেই বিষয়টা খানিকটা তেমন।
 
ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের। সেখানকার হাইকোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ ছিল, জীবন্ত পশু কেন কসাইখানায় রাখা হবে? এক্ষেত্রে পশু বলতে বোঝানো হয়েছিল মুরগিকেই। কারণ, আইন বলে কোনো জীবন্ত পশু কসাইখানায় রাখা যায় না। তাহলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মুরগির দোকানে কেন জীবন্ত অবস্থায় মুরগি রাখা হয়, তা নিয়ে সরব হন মামলাকারী। 
 
 এদিকে, পাল্টা যুক্তি ছিল মুরগি আসলে পাখি। সুতরাং জীবন্ত অবস্থায় আটকে রাখলে আইনত কোনো অপরাধ নেই, এমন দাবিও ওঠে। বেশ কয়েকমাস প্রশ্ন-উত্তর চলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সরকার পক্ষের আইনজীবী জানিয়ে দেন, মুরগিকে পশুর আওতায় রাখা হবে এবং যাবতীয় আইন সেইমতো কাজ করবে। 
 
প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই ঘটনার পরেও কেন মাংসের দোকানে জীবন্ত মুরগি রাখা হয়? কারণ একটাই, এই সংক্রান্ত কোনো আইনি নোটিশ বা নিয়ম জারি করা হয়নি। তবে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাতেও বিষয়টা ভুল বলা যাচ্ছে না। আসলে, ভাষার কারণে এমন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। 
 
কোন প্রাণী কোন প্রজাতির অংশ হবে তা স্থির হয় অ্যানিমাল কিংডমের ভিত্তিতে। সেই হিসেবে মুরগি অ্যানিমিলিয়া গোত্রের। অর্থাৎ তা আসলে অ্যানিম্যাল। বাংলায় যাকে বলে পশু। কিন্তু মুরগির ডানা রয়েছে, পালক রয়েছে, ডিমও পাড়ে, সেই হিসেবে পাখিও। সুতরাং বিতর্ক সহজে মেটার নয়। তবে আদালতে কিছুটা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে এই বিষয়ের। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়