শিরোনাম
◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে আগামী জু‌নে চিলি ও কলম্বিয়ার মু‌খোমু‌খি আ‌র্জেন্টিনা ◈ পা‌কিস্তান সফ‌রের আ‌গে আরব আমিরাতের স‌ঙ্গে দু‌টি টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ◈ উ‌য়েফা কনফারেন্স লিগে সুই‌ডিশ ক্লাব‌কে উ‌ড়ি‌য়ে দি‌লো চেলসি ◈ আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের দুই মাসের খাবার মজুদের নির্দেশ ◈ দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি ◈ যদি কিন্তু ছাড়াই আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ অনিশ্চয়তায় ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর ◈ বিচার চলাকালীন আইন করে আ. লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে: নাইদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ফজলুর রহমানের বক্তব্য সরকার সমর্থন করে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আদানির বকেয়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:২৬ দুপুর
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকার কি তাহলে প্রতিবিপ্লবের মুখোমুখি?

মতিউর রহমান চৌধুরী, কলাম দৈনিক মানবজমিন থেকে: বিপ্লবের ছায়াসঙ্গী হচ্ছে প্রতিবিপ্লব। যেখানেই বিপ্লব সেখানেই প্রতিবিপ্লবের আলামত। কোথাও সফল হয়। কোথাও ব্যর্থ। বাংলাদেশের বিপ্লব নিয়েও দেশে-বিদেশে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নানামুখী প্রচারণা। নানা ছক তো আছেই। সরকারের ভেতরেও একটি মহল প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। যদিও এর আগে অনেকগুলো পরিকল্পনা বা ছক ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পরাজিতরা বসে নেই। তারা বিজয়ের হাসি হাসতে চায়। তাই বলছে, ক’দিন যায় দেখুন! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন টানটান উত্তেজনা। বলা হচ্ছে, প্রতিবিপ্লব এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

অবাধ স্বাধীনতার যুগে এমনটাই স্বাভাবিক। ফিলিপাইনেও বিপ্লবের পর এমনটা ঘটেছিল। সরকারি মহল কি তাহলে চিন্তিত? প্রশ্ন রেখেছিলাম সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বললেন, এটা নতুন কোনো খবর নয়। আমরা সবাই জানি এবং দেখছি। নানাভাবে সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনি কি তাহলে চিন্তিত? জবাব দিলেন সোজাসাপটা। বললেন, চোখ-কান খোলা রেখেছি। যা ব্যবস্থা নেয়ার নিচ্ছি। বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব কি তাহলে অবশ্যম্ভাবী! ইতিহাস তো তাই বলে। আমরা আমাদের কাজ করছি। কিছু ভুল-ত্রুটি তো আছেই।

এটা দূর করে আমরা গন্তব্যে যেতে চাই। সে গন্তব্য কোথায়? এই প্রশ্ন কেন? আমরা তো বলেছি সংস্কার এবং নির্বাচন, আমরা দুটোই চাই। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আমরা থাকতে চাই না। আমার তো সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তুমি তো জানো আমি স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখাই। এখন তো আমি আর কোনো স্বপ্নও দেখতে পারি না। যেখানে ছিলাম আমি একজন মুক্ত মানুষ। 

এখানে কি আপনি মুক্ত নন? মুক্ত কিনা জানি না, তবে ফাইলে বন্দি। এন্তার ফাইল আমাকে সই করতে হয় প্রতিদিন। অন্যকাজে সময় দিতে পারছি কম- এটা সত্য। বাস্তব সত্য। 

সব ফাইল কি পড়তে হয়? সব ফাইল পড়তে হয় না। কিন্তু সই করতে হয়। দুনিয়ায় ফাইল উঠে যাচ্ছে, সবই ডিজিটাল। আমরা এখনো ‘লাল ফিতায় বন্দি’। এই অবস্থার অবসান কবে হবে। 

স্যার, সুযোগ যখন পেলাম তখন জানতে ইচ্ছা করে আপনার উপদেষ্টামণ্ডলী কেমন করছেন? পাল্টা প্রশ্ন- তোমার কী ধারণা? আমার ধারণা এখানে মুখ্য নয়, মানুষ কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে। স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে বললেন, ভালো-মন্দ সবই আছে। কেউ দুর্বল, কেউ সবল। আমি তাদের কাজ দেখছি, মানুষও দেখছে।

একটা জায়গায় পৌঁছে তো আমাকে নম্বর দিতে হবে। সেটার কাজ এখন চলছে। মানুষ চেয়ে আছে আমাদের দিকে। আমরা কী পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছিলাম এটা তো অজানা নয়। চারদিকে তো অস্থিরতা। মানুষ তো স্বস্তি চায়। নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে- তা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে। মানুষ পরিবর্তন দেখতে চায়। আর এখানেই শেষ হয়ে গেল ষাট মিনিটের আলোচনা।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়