শিরোনাম
◈ ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত, মাল্টার জলসীমা থেকে কর্মী উদ্ধার ◈ কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া নিয়ে আইএমএফকে সতর্ক করল ভারত ◈ বিহারে স্কুলের মিড-ডে মিলে মৃত সাপ, শতাধিক শিশু অসুস্থ! ◈ অর্থ সংকটে নভোএয়ারের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ, ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে আগামী জু‌নে চিলি ও কলম্বিয়ার মু‌খোমু‌খি আ‌র্জেন্টিনা ◈ পা‌কিস্তান সফ‌রের আ‌গে আরব আমিরাতের স‌ঙ্গে দু‌টি টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ◈ উ‌য়েফা কনফারেন্স লিগে সুই‌ডিশ ক্লাব‌কে উ‌ড়ি‌য়ে দি‌লো চেলসি ◈ আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের দুই মাসের খাবার মজুদের নির্দেশ ◈ দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি ◈ যদি কিন্তু ছাড়াই আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫৩ রাত
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সব পক্ষই নিজেদের হেডম দেখালেন, অথচ মূল্য চুকালো কিছু প্রাণ

শুভ কামাল

শুভ কামাল: মানুষ যেদিন থেকে মারা যাওয়া শুরু হলো তার আগের দিন মাহমুদ দারবিশের কবিতা অবলম্বনে বলেছিলাম, ‘একদিন এই আন্দোলন থেমে যাবে। দুই পক্ষের নেতারা হ্যান্ডশেক করবে। সেই বৃদ্ধা মা তার সন্তানের জন্য অপেক্ষায় থাকবে, সেই স্ত্রী অপেক্ষার প্রহর গুনবে তার স্বামীর ফেরত আসার, শিশুরা আশা নিয়ে অপেক্ষা করবে তাদের পিতা একদিন ঘরে ফিরবে। আমি জানি না কারা এই আন্দোলন নিয়ে ব্যবসা করবে, কিন্তু আমি জানি কারা এর মূল্য চুকাবে’।

ছাত্রদের বলেছিলাম, কোর্টের রায়ের জন্য একটা মাস অপেক্ষা করতে। সেই কোর্টের রায়ই তো হলো, পঁচিশ দিন আগে হলো। রায় পঁচিশ দিন এগিয়ে আনার জন্য এতগুলা প্রাণক্ষয় ওয়ার্থ করলো কি? হ্যাঁ, সরকার চাইলে আগে সমঝোতা করতে পারতো। সেখানে তাদের ভুল আছে। তারা ছাত্রদের ট্যান্ট্রাম সামাল দেয়ার জন্য কিছু একটা বলতে পারতো। তারা রায় পরবর্তী  সময়ে এগিয়ে এনেছে। কিন্তু আপনারা সহনশীলতা কোথায় দেখিয়েছেন? আসেন আপনাদের ভুলগুলোও একটু দেখি। প্রথমত, ফাইনাল সবচেয়ে বড় আন্দোলনটা হওয়া উচিত ছিল কোর্টের রায়ের পর সেই রায় পক্ষে না আসলে। তখন আন্দোলন করলে এখন যেমন লোকে জাস্টিফিকেশন দিতে পারছে তা পারতো না এবং আন্দোলনও আরো তীব্র হতো। 

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এই অহেতুক রক্তপাত এড়ানো যেত। দ্বিতীয়ত, গুগল করে দেখেন কীভাবে এই যুগে আন্দোলন সফল করতে হয়। এর একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে, ‘উইনিং হার্ট অ্যান্ড মাইন্ড’। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মন জয় করে আন্দোলনের সাথে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো। এই যে একাধিক মানুষ মেরে আপনারাও উলটো করে ঝুলিয়ে দিলেন, এটা-ওটা পোড়ালেন, তাতে কি হার্ট অ্যান্ড মাইন্ড জয় করা সম্ভব? তাছাড়া আপনাদের শ্লোগানেও অনেকেই ট্রিগার খেয়েছে। আমার তো মনে হয় না ছাত্ররা মানুষ উলটা করে ঝুলাইছে। মনে হয় না মেট্রোরেলে আগুন ছাত্ররা দিয়েছে। তাহলে কারা ছিল সবকিছুর পেছনে? মানুষ মারা যাওয়ার দায় যেমন সরকারকে নিতে হয়, আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতি মৃত্যুর দায়ও আন্দোলনকারীদেরই নিতে হয়। সব পক্ষই নিজেদের হেডম দেখালেন। অথচ মূল্য চুকালো কিছু প্রাণ। ২৫-৭-২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়