শাহীন খন্দকার:[২]কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘কারাগার মানুষের ভুল সংশোধন হওয়ার জায়গা।মানুষ নিজেকে বদলায়, নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়। তারাও মানুষ। তাদের পরিবার-পরিজন আছে। তিনি বলেন, আমরা তাদের কাছাকাছি থাকি। তিনি বলেন,এবার ঈদের আনন্দ বন্দিদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বন্দিদের জন্য ভিন্ন রকম আয়োজন করেছে কতৃপক্ষ ঈদ উপলক্ষে।
[৩]তিনি বলেন, নারী বন্দিদের সঙ্গে থাকা শিশুদের দেওয়া হবে নতুন পোশাক। সেই সঙ্গে নারীদের জন্য বিশেষ কসমেটিকস আর পুরুষদের জন্য নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা কারাগারে বর্তমানে ২ হাজার ৬২৭ বন্দি আছেন। এর মধ্যে ১২৭ বন্দি নারী। তাদের মধ্যে ১৪ জন নারীর ১৪ শিশু সন্তান বর্তমানে মায়ের সঙ্গে কারাগারেই ঈদ করবে।
[৪]এসব শিশুর ঈদের দিনের আনন্দের কথা চিন্তা করে কতৃপক্ষ মেয়ে শিশুদের জন্য নতুন ফ্রেুাক, সালোয়ার-কামিজ, গেঞ্জি ও ছেলে শিশুদের জন্য শার্ট-প্যান্ট,ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট কিনেছে কারা কর্তৃপক্ষ। চাঁদ দেখা গেলেই তাদের হাতে এসব উপহার তুলে দেবেন কারাগারের কর্মকর্তারা। এর আগে তাদের হাতে দিলে শিশুরা সেগুলো নষ্ট করে ফেলবে।
[৫]কারাগার সূত্রে আরো জানা গেছে, ১২৭ নারী বন্দিকে নতুন পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন কসমেটিকস দেওয়া হবে। যেমন মেহেদি, টিপ, লিপস্টিক, আলতা, ক্রিম, চুড়ি, চুলের ব্যান্ড, চুলের ফিতা। প্রায় ২৫ শতাংশ তরুণী বন্দি, যাদের অনেকেই ইতোমধ্যে মেহেদি পেয়ে রাঙিয়েছেন তাদের হাত। ঈদ আনন্দে একে অন্যের সঙ্গে নারী বন্দিরা মেতে উঠেছেন খোশগল্পে।
[৬] পুরুষদের প্রায় সবার বাড়ি থেকেই নতুন পোশাক এসেছে কারাগারে। তবে কয়েকজন বাকি আছে। তাদের নতুন পোশাক দেওয়ার কথা ভাবছে কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন কারাগারে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হবে। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় পোলাও, মুরগি, ডাল ও সবজির আয়োজন থাকবে। ঈদের দিন কারাগারে ঈদের নামাজ হবে। ঈদের নামাজ শেষে প্রতিজনকে ২০ মিনিট করে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
[৭]এছাড়া সবার জন্য হরেক রকমের পায়েস রান্না করা হবে। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে দেওয়া হবে। দুপুরে থাকবে মুরগির রোস্ট, পোলাও, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মাছ, ডিম, ভর্তা, ভাত, ডাল রান্না করা হবে। খাবারের শেষে কোমলপানীয় এবং মিষ্টি, চমচম খাওয়ানো হবে সবাইকে। এভাবে ঈদের দিন রাতেও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।