শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:৪৮ রাত
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি না–ও হই, তাতেও সমস্যা নেই, বিষয়টির সমাধান হতেই হবে: ড. ইউনূস

দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা নদীর পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি পিটিআই’র ওয়েবসাইটে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকায় নিজ সরকারি বাসভবনে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি অবশ্যই হতে হবে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর অধিকার সমুন্নত রাখার সুনির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পিটিআই নিউজের ওয়েবসাইটে এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।  

‘বিষয়টি (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে থাকার ফলে এটা কোনো কাজে আসছে না। আমি যদি জানি যে আমি কতটুকু পানি পাব, তাহলে এটি ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে যদি আমি খুশি না–ও হই, তাতেও সমস্যা নেই। বিষয়টির সমাধান হতেই হবে,’ সাক্ষাৎকারে বলেন প্রধান উপদেষ্টা। 

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে শিগগিরই তাড়া বা চাপ (পুশ) দেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, নতুন সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। 

এ নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘চাপ (পুশ) শব্দটি অনেক বড়। আমি এই কথা বলছি না। আমরা আলোচনা করব। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

২০১১ সালে ঢাকায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই চুক্তিকে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে আর চুক্তি হয়নি। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজ্যেই পানির সংকট রয়েছে।

সাক্ষাৎকারে  ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং খুবই পুরোনো বিষয়। আমরা বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে কথা বলেছি। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু। আমরা সবাই যখন ওই চুক্তি চূড়ান্ত করতে চেয়েছি, এমনকি ভারত সরকারও প্রস্তুত ছিল; তখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এর জন্য তৈরি ছিল না। আমাদের এটির সমাধান করতে হবে।’

বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর নির্দিষ্ট অধিকার সমুন্নত রাখতে চাওয়ার অধিকার থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে এ বিষয়ে সমাধান করতে হবে। ভাটির দেশগুলোর নির্দিষ্ট কিছু অধিকার রয়েছে এবং আমরা সেই অধিকার চাই।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঠিক কী পরিমাণ পানির হিস্যা পাবে বাংলাদেশ- সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুক্তিতে সই করতে নারাজ। যেকোনো মূল্যে বিষয়টির সমাধান হতেই হবে- এ মন্তব্যও করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

সাক্ষাৎকারে সীমান্ত হত্যার বিষয়টিও উঠে আসে। সীমান্ত হত্যার নিন্দা জানিয়ে  ড. ইউনূস বলেন, হত্যাকাণ্ড কোনো সমাধান নয়। কাউকে হত্যা করা কোনো সমাধান নয় কারণ এটি মোকাবিলার আইনি উপায় রয়েছে।

সীমান্ত হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা একতরফা ব্যাপার। আপনার দেশ দখলের জন্য কেউ সীমান্ত অতিক্রম করছে না। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়