শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:২৬ দুপুর
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকায় ‘ইসলামের নবী (সাঃ ) : মুসলিম উম্মাহ গঠণের অক্ষ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী  (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফয়িা কামাল মিলনায়তনে ‘ইসলামের নবী (সা. ) : মুসলিম উম্মাহ গঠনের অক্ষ’ শীর্ষক  এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর  ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলনে, এ বছরের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) অন্যান্য বছরের চেয়ে ভিন্ন,  কেননা এই বছরটি আল্লাহর প্রিয় রাসুলের ১৫০০ তম জন্মবার্ষিকী”।

ও.আই.সি র বৈঠকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সুপারিশে ২০২৫ সালকে “হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ১৫০০ তম জন্মবার্ষিকী” হিসেবে সারা মুসলিম বিশ্বে উদযাপন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং এ বছর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আয়োজনের সাথে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে ওআইসি ভুক্ত দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সবার এক মতে একটি প্রস্তাবও পাশ হয়েছে এবং সকলে  মহানবী (সা.) এর ১৫০০ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজনে একমত হয়েছেন।

বক্তারা এই অয়োজনকে মহানবী (সা.) এর চিরন্তন আর্দশকে চর্চা করার সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন৷ বক্তারা বলেন, ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন। অর্থাৎ তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য রহমতস্বরূপ। তিনিই প্রথম বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে অন্ধকার যুগ ছিল। মহানবী  হযরত মুহাম্মদ (সা.) র্সবপ্রথম ঘোষণা করেন, পৃথিবীর সব মানুষ সমান। সাদার উপর কালোর কিংবা কালোর উপর সাদার বিশেষ কোনো মর্যাদা নেই। আর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পথ অনুসরণকারী মুসলমানরা হলো ভাই-ভাই। মুসলমানরা যাতে কখনো বিপদের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আমাদের প্রিয় নবী মুসলমানদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা ঐক্যের রশ্মিকে শক্ত করে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। বর্তমান ইসলামি বিশ্বে যে সংকট বিরাজ করছে তার মূলে রয়েছে মুসলমানদের মধ্যকার বিভাজন। আর এই বিভাজন দূর করতে হলে রাসূল (সা.)-এর পথ অনুসরণ করতে হবে এবং তাকে কেন্দ্র করেই মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়