শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:২৭ বিকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বিতরণ, বিশেষ ফজিলত আছে কি?

ইসলামে শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রাত। ইসলামে শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ রাত। রাসুল (সা.) বলেছেন,

يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن.
আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টিকুলের দিকে দয়ার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

এ রাতটিই আমাদের দেশে ‘শবে বরাত’ হিসেবে পরিচিত। হাদিসে বর্ণিত ফজিলত ও আমলের বাইরেও এ রাতটিকে ঘিরে আমাদের দেশে অনেক রকম ভুল ধারণা, ভুল প্রথা ও আমল প্রচলিত রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। যেমন অনেকে এ রাতে হালুয়া-রুটি বানানো, নিজেরা খাওয়া ও বিতরণ করাকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কাজ মনে করেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে। তারা এ কথাটিকে নবিজির (সা.) হাদিস মনে করেন। অথচ নবিজির (সা.) সাথে এই কথাটির দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট একটি কথা যা নবিজির (সা.) কথা হিসেবে প্রচার করা হয়।

অনেককে বলতে শোনা যায়, ওহুদ যুদ্ধে যখন নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁত মোবরক শহীদ হয়েছিল, তখন তিনি কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া-রুটি খাওয়া হয়। এটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। ওহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল শাওয়াল মাসের ৭ তারিখ। ওই ঘটনার সাথে শাবানের ১৫ তারিখ বা শবে বরাতের কোনো সম্পর্ক নেই।

শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণের প্রচলন নবিজি (সা.) ও সাহাবিদের যুগে ছিল না এবং এ রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়া বা বিতরণের বিশেষ কোনো ফজিলত নবিজি (সা.) তার কোনো সাহাবি থেকে বর্ণিত হয়নি। হালুয়া রুটি বানানো, খাওয়া বা বিতরণ করা শবে বরাতের বিশেষ কোনো আমল নয়। শবে বরাতের জরুরি বা বিশেষ আমল মনে করে হালুয়া-রুটি বানালে, খেলে বা বিতরণ করলে তা বিদআত ও নাজায়েজ কাজ গণ্য হবে।

তবে এ রাতের বিশেষ আমল বা ফজিলতপূর্ণ আমল মনে না করেও কেউ যদি এ রাতে হালুয়া-রুটি বানায় বা বিতরণ করে, তাহলে তা নাজায়েজ হবে না। সদকা ও হাদিয়া সব সময়ই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। সাধারণভাবে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন বা দরিদ্রদের হালুয়া-রুটিসহ যে কোনো খাবার খাওয়ানো, হাদিয়া পাঠানো নাজায়েজ কোনো কারণ নেই। কিন্তু এটিকে শবে বরাতের বিশেষ আমল মনে করা বা এ রকম ভুল ধারণা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে এ রাতে হালুয়া-রুটি বানানো ও বিতরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। উৎস: জাগোনিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়