শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:৪৯ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজান দেওয়ার আগে নামাজ পড়া যাবে?

ইস্রাফিল ফকির: [২] নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এছাড়াও তা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য একামত দেওয়া সুন্নত। একাকী ফরজ নামাজ আদায় করলে একামত দেওয়া মুস্তাহাব।  সূত্র: ঢাকাপোস্ট

[৩] দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য পাঁচবার আজান দেওয়া হয়। নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরই আজান দেওয়া হয়। তবে কোনো কারণে নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরও আজান না হলে নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে। কারণ, জামাতের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তবে আজানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, তা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দশন। আজানের মাধ্যমেই মানুষ নামাজের সময়ের ব্যাপারে সচেতন হয়। আর মসজিদ ছাড়া অন্য জায়গায় জামাতের ক্ষেত্রে স্বীয় এলাকার মসজিদের আজান সেই জামাতের জন্য যথেষ্ট হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৪০৯, কানজুদ্দাকায়েক, পৃ. ১৯)

[৪] প্রসঙ্গত, সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন বলেন জানিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

[৫] বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণরূপে রুকু ও পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবে, তাকে ক্ষমা করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর যে ব্যক্তি এরূপ করবে না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করবেন, অন্যথায় শাস্তি দেবেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৫)

[৬] এছাড়াও সময়মতো নামাজ আদায়কে সর্বোত্তম আমল বলে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত উম্মু ফারওয়া (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নামাজের সময় ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৬)

[৭] নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৪২-৪৭)

আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়