ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে চাপ বাড়াতে রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট এবং লুকোয়েলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে পরিকল্পিত বৈঠকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের বিষয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার একদিন পর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল। এর আগে বুধবার, ইউক্রেনে রাশিয়ার বোমাবর্ষণে শিশুসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘এই অযৌক্তিক যুদ্ধ শেষ করতে পুতিনের অস্বীকৃতি’ জানানোয় নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, এসব তেল কোম্পানি ক্রেমলিনের ‘যুদ্ধ যন্ত্রকে’ অর্থায়ন করে।
বুধবার ওভাল অফিসে রুটের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তরিক নন। তিনি আশা করেন নতুন নিষেধাজ্ঞা এই প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি আনতে সাহায্য করবে।
তিনি নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজটিকে ‘অসাধারণ’ উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়, তবে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যও রসনেফট ও লুকোয়েলের ওপর একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই রাশিয়ান দুটি তেল কোম্পানি প্রতিদিন প্রায় ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন (৩১ লাখ) ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। যুক্তরাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী, রসনেফট একাই রাশিয়ার মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেকের দায়িত্বে, যা বৈশ্বিক উৎপাদনের ছয় শতাংশ।
তেল ও গ্যাস রাশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য এবং মস্কোর সবচেয়ে বড় ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত ও তুরস্ক।ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে ট্রাম্প এই দেশগুলোকেও রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।