শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:৩৩ রাত
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নেপালের সামনে কী অপেক্ষা করছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নাকি সেনাশাসন?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘিরে শুরু হওয়া ‘জেন জি আন্দোলন’ নেপালকে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্মে হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তরুণদের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়। দুর্নীতি, বেকারত্ব ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার অভাবে ক্ষুব্ধ তরুণরা আন্দোলনে নেমে আসে।

টানা সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও শত শত মানুষ আহত-গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনসহ একাধিক সরকারি দপ্তর ও মন্ত্রী-শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি এবং প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন। পরে জানা যায়, অলি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও পুলিশের গুলিতে প্রাণহানির দায় স্বীকার করে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। যদিও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়, তবু বিক্ষোভ থামেনি। আন্দোলনকারীরা এখন কেবল ডিজিটাল স্বাধীনতা নয়, বরং গভীর রাজনৈতিক ও কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। খবর ইন্ডিয়া টিভির। 

এদিকে, চলমান বিশৃঙ্খলার মধ্যে নেপালি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জনগণকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব, সংস্কৃতি ও সম্পদ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেনারা বলেছেন, তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও ঐক্য নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নেপালের সংবিধানের ২৬৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সেনা মোতায়েনের সুযোগ দুটি ক্ষেত্রে আছে-দুর্যোগ বা উন্নয়ন কাজে (ধারা ৪) এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ, বহিঃশত্রুর হুমকি বা মারাত্মক দাঙ্গার সময় (ধারা ৬)। প্রেসিডেন্ট, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে সেনা মোতায়েন সম্ভব।বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ২৬৭(৬) ধারা প্রয়োগ সাংবিধানিকভাবেই বৈধ হতে পারে।

কে নেতৃত্ব দেবেন নেপালকে: রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে কাঠমান্ডুর মেয়র ও সাবেক সংগীতশিল্পী বালেন্দ্র শাহ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্ভাব্য মুখ হয়ে উঠেছেন। স্বাধীন ও তরুণসুলভ ভাবমূর্তির কারণে বিশেষ করে জেন জি প্রজন্ম তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। তবে পরিস্থিতি জটিল। পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সির মতো প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোও অস্থিরতায় জড়িত। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সমঝোতার সরকার বা জোটভিত্তিক নেতৃত্ব গঠনের পরই নতুন নির্বাচন বা স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে। আপাতত, নেপালের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে তা অনিশ্চিত।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়