শিরোনাম
◈ বৃটেনে বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের সম্পত্তি লেনদেন নিয়ে গার্ডিয়ানের বিস্ফোরক প্রতিবেদন ◈ জামায়াতের সমাবেশে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা ◈ এনসিপির নিবন্ধনে ঘাটতি: ৩ আগস্টের মধ্যে সংশোধনের সময় দিয়েছে ইসি ◈ ট্রাম্পের ক্ষোভে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, মামলা ১০ বিলিয়ন ডলারের ◈ নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণ ও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ ◈ রাজধানীর পল্লবীতে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ ব্রহ্মপুত্রে চীনের দৈত্যাকার বাঁধ: ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগ উপেক্ষা করেই প্রকল্পের উদ্বোধন ◈ জাতীয় মানবাধিকারের নামে সমকামিতার অফিস করতে দিবো না: মামুনুল হক ◈ মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০১:২২ রাত
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্পের ক্ষোভে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, মামলা ১০ বিলিয়ন ডলারের

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলারের মানহানি মামলা করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি ‘ভুয়া’ প্রতিবেদনের জন্য শুক্রবার (১৮ জুলাই) এই পদক্ষেপ নেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মায়ামি অঙ্গরাজ্যের আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় বলা হয়, বহুল আলোচিত যৌন অপরাধী ও বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইনকে ২০০৩ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি জন্মদিনের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়, ওই কার্ডে যৌন উত্তেজনাকর ছবি এবং গোপনীয় কথা লেখা ছিল, যা সম্পূর্ণ ভুয়া। তাদের ওই প্রতিবেদনের কারণে প্রেসিডেন্টের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সুনামও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


এই মামলায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক রুপার্ট মারডকসহ দুজন প্রতিবেদক এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম ডাও জোনস, নিউজ কর্প ও এর প্রধান নির্বাহী রবার্ট থমসনকে বিবাদী পক্ষ করা হয়েছে।

মামলা করার পর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো 'অপদার্থ কাগজে' প্রকাশিত মিথ্যা, বিদ্বেষপূর্ণ ও মানহানিকর ভুয়া সংবাদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে শক্তিশালী মামলা করেছি। রুপার্ট ও তার ‘বন্ধুরা’ যেন দীর্ঘ জেরা ও সাক্ষ্য দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়।

নিউ ইয়র্কের এক কারাগারে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করে এপস্টেইন। ট্রাম্পের দাবি, এপস্টেইনের আইনি জটিলতা ২০০৬ সালে জনসম্মুখে আসা শুরুর আগেই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

এপস্টেইনের কথিত গোপন ফাইল এবং তার কাছ থেকে অনৈতিক যৌন সেবা গ্রহণকারীদের নাম প্রকাশের ধুয়া তুললেও, ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্প বলছেন, সেরকম কোনও ফাইলের অস্তিত্বই নেই। ইদানীং আবার কোনও সাংবাদিক এপস্টেইন প্রসঙ্গ তুললেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন তিনি। এরমধ্যে তার এই মামলার কারণে চলমান ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোতে আরও বাতাস পেলো।

ট্রাম্পের সমর্থকসহ অনেকের ধারণা, এপস্টেইনের তালিকায় এমন অনেক মানুষের নাম আছে, যেগুলো কোনও মার্কিন সরকারই প্রকাশ করবে না। তাই ট্রাম্প প্রশাসনও সেগুলো ধামাচাপা দিচ্ছে।

নিউজ কর্পের একটি বিভাগ এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্যারেন্ট কোম্পানি ডাও জোন্সের এক মুখপাত্র মামলার বিষয়ে বলেছেন, আমাদের প্রতিবেদনের নির্ভুলতা ও মান নিয়ে আমরা পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী এবং এই মামলার বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে লড়াই করব।

এদিকে, মামলার আর্থিক দাবি নিয়েও হচ্ছে আলোচনা। মানহানি সংক্রান্ত মামলায় অভিজ্ঞ আইনজীবী জেসি গেসিন বলেন, এক হাজার কোটি ডলার একেবারেই অবাস্তব একটি সংখ্যা। এটি যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলায় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ রায়ের নজির হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়