শিরোনাম
◈ আসন্ন নির্বাচনে পোস্টারে নিষেধাজ্ঞা, ব্যানার-ফেস্টুন-লিফলেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারে ছাড় ◈ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা এখনও আসেনি, সরকারের নির্দেশনা পেলেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ গ্যাস নিরাপত্তা ও পরিবেশ উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ৬৪০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ◈ আমরা পারব, ইনশাআল্লাহ—জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্টের আশা ও প্রত্যয় ◈ ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’, থাকবে সরকারি ছুটি : উপদেষ্টা ফারুকী (ভিডিও) ◈ ক্লাব বিশ্বকা‌পে ম‌্যান‌চেস্টার সিটির শুভ সূচনা,  লুইসের লাল কার্ড ◈ আদালত থেকে নাটকীয়ভাবে পালাল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ◈ ফাত্তাহ-২ থেকে হোভেইজেহ: ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কৌশলে বিপর্যস্ত ইসরায়েল ◈ আমার একটু ভালোবাসা পেলে কান্না পায় : জাহিদ হাসান ◈ পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ডেকেছিলেন ট্রাম্প, যা জানাগেল

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০২৫, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বায়ুমণ্ডল থেকে মহাকাশ হয়ে টার্গেটে: ইরানের মিসাইলগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে কত সময় লাগে?

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে এখন সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে ব্যালিস্টিক মিসাইল। অত্যন্ত দ্রুতগামী এই অস্ত্রগুলো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক ভয়ানক চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র ১২ মিনিটে ইরান থেকে ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলগুলো, যা যেকোনো সামরিক প্রস্তুতির জন্য সময়ের মারাত্মক সংকট তৈরি করে।

ব্যালিস্টিক মিসাইল: উচ্চগতি ও জটিল গতি পথ

এই মিসাইলগুলো সাধারণত Mach 5 বা তারও বেশি গতিতে ছুটে চলে, অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬,২০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি। প্রথম ধাপে এটি মহাকাশের উপরে উঠে যায় (sub-orbital trajectory), এরপর আবার বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ধেয়ে আসে। নামার সময় গতি এতটাই বেড়ে যায় যে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ পায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে

এছাড়া, অনেক ব্যালিস্টিক মিসাইলে থাকে ডিকয় (decoy) বা প্রতিরোধ ভেদকারী প্রযুক্তি, যা রাডার বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে বিভ্রান্ত করতে পারে। ফলে এগুলোর গতিপথ নির্ধারণ ও প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

ক্রুজ মিসাইল: ধীর কিন্তু কৌশলী হামলা

ইরান শুধু ব্যালিস্টিক মিসাইল নয়, বরং ক্রুজ মিসাইল ব্যবহারের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে। এই মিসাইলগুলো বিমান বা ড্রোনের মতো নিচু পথে উড়ে চলে, ফলে রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম। যদিও এগুলোর গতি তুলনামূলক কম (ইসরায়েলে পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা লাগে), তবে এগুলো জ্যামিং ও পথ পরিবর্তনের মাধ্যমে আকাশ প্রতিরক্ষা এড়িয়ে যেতে পারে। কিছু মডেলে থাকে রাডার ইভেশন কৌশল ও রাস্তায় বাঁক নেওয়ার ক্ষমতা, যা প্রতিরোধ জটিল করে তোলে।

ড্রোন: ধীরগতির কিন্তু ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী

তুলনামূলক ধীরগতি সম্পন্ন ইরানিয়ান ড্রোনগুলো ইসরায়েল পৌঁছাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় নেয়। তবে সংখ্যায় অনেক ড্রোন একসাথে চালানো হলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভীষণভাবে ব্যস্ত ও বিভ্রান্ত করে ফেলে। কিছু ড্রোনে স্টিলথ প্রযুক্তিলো-অবজারভ্যাবিলিটি ডিজাইন ব্যবহৃত হয়, যা শনাক্ত করাকে আরও কঠিন করে তোলে।

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সংকট

ইসরায়েলের উন্নত ডিফেন্স সিস্টেম যেমন Iron Dome, David’s Sling এবং Arrow-3, এসব হুমকি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকলেও, একসাথে বহু ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের কারণে "saturation attack" বা পরিপ্লাবিত আক্রমণ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

উপসংহার

ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক টেকনোলজি যুদ্ধ নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। শুধু সংখ্যা নয়, অস্ত্রের প্রকার, গতি, কৌশলগত বৈচিত্র্য—সবকিছু মিলে এই সংঘাতকে করেছে আরও জটিল ও ভয়াবহ। ভবিষ্যতের যুদ্ধ যে শুধুই সৈন্য কিংবা ট্যাংকের নয়, বরং প্রযুক্তির—তা আরও একবার প্রমাণ হলো এই সংঘাতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়