শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:৫৮ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে ডিজিটাল জালিয়াতি ১৭৭৬ কোটি রুপি

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস: ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বলছে, দেশটির সাইবার ক্রাইম নিরীক্ষণকারী মতে, ভারতীয়রা হ্যাকারদের জালিয়াতিতে ১২০ কোটি ৩০ লাখ রুপি হারিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন বলছে এসব জালিয়াতে ঘটে এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে। ভারতের সরকারি সাইবার ক্রাইম ডেটা এ তথ্য দিয়েছে। 
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে শুধু হ্যাকিং নয় গত মে পর্যন্ত ভারতীয়রা ট্রেডিং কেলেঙ্কারিতে ১,৪২০ কোটি ৪৮ লাখ রুপি, বিনিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ২২২ কোটি ৫৮ লাখ রুপি এবং রোম্যান্স/ডেটিং কেলেঙ্কারিতে ১৩ কোটি ২৩ লাখ  রুপি হারিয়েছে। 

এসব হ্যাকারদের অনেকেই মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ায় বাস করে। হ্যাকারদের প্রবণতাগুলির একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে গত জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে রিপোর্ট করা সাইবার জালিয়াতির ৪৬ শতাংশ মিয়ানমার, লাওস এবং কম্বোডিয়া থেকে এসেছে। এবং এধরনের ক্রমশ বাড়ছে। 

ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের (এনসিআরপি) তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৭.৪ লাখ অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছর এধরনের অভিযোগ ছিল ১৫.৫৬ লাখ। ২০২২ সালে মোট ৯.৬৬ লাখ এবং তার আগের বছর ছিল ৪.৫২ লাখ। সম্ভাব্য ভুক্তভোগীরা একটি কল পান এবং তাদের কলকারী বলেন যে তাদের নামে একটি পার্সেল/কুরিয়ার এসেছে। এসব পার্সেলে অবৈধ পণ্য, ওষুধ, জাল পাসপোর্ট বা অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্য থাকে। 

জালিয়াতকারীরা একবার তাদের জালে টার্গেট পেয়ে গেলে, প্রতারকরা তাদের সাথে স্কাইপ বা অন্যান্য ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করত যারা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে জাহির করে, প্রায়শই ইউনিফর্ম পরিধান করে এবং পুলিশ স্টেশন বা সরকারী অফিসের মতো জায়গা থেকে কল করে এবং একটি ‘সমঝোতার’ জন্য অর্থ দাবি করে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন কি বাত অনুষ্ঠানে তার দেশের নাগরিকদের এধরনের ডিজিটাল জালিয়াতিতে পড়ার আগে নিরাপদ থাকার জন্য ৩টি ধাপ অনুসরণ করতে বলেছেন। তা হচ্ছে থামুন, চিন্তা করুন, পদক্ষেপ নিন। মোদি বলেন, প্রথমত, শান্ত থাকুন এবং আতঙ্কিত হবেন না। রেকর্ড করুন বা সম্ভব হলে একটি স্ক্রিন রেকর্ডিং নিন। দ্বিতীয়ত, মনে রাখবেন কোনো সরকারি সংস্থা আপনাকে অনলাইনে হুমকি দেবে না। তৃতীয়ত, জাতীয় সাইবার হেল্পলাইনের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ১৯৩০ ডায়াল করে ব্যবস্থা নিন এবং এই ধরনের অপরাধ সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করুন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়