শিরোনাম
◈ ভোটাভুটি নয়, সর্বসম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনের পক্ষে জামায়াত ◈ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি, বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ◈ তাসকিন-মুস্তাফিজদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় ◈ দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীমের যোগদান ◈ চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অযত্ন-অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসক নেই, সেবা নেই, ভোগান্তি চরমে ◈ মিয়ানমারে দেড়শ ভারতীয় ড্রোন হামলার নেপথ্যে কে ছিল? ◈ দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখা উচিত: সালাহউদ্দিন আহমদ (ভিডিও) ◈ পিআর পদ্ধতির দাবিকে ঘিরেই কী আসছে নতুন নির্বাচনি সংকট

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৮:২৩ রাত
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডেঙ্গু ও করোনা চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনাবলি

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণের মধ্যে দুটি রোগের চিকিৎসায় নতুন নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ‘ডেঙ্গু ও কোভিড চিকিৎসায় নির্দেশনাবলি’ আজ রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে।

এই নির্দেশনাবলি দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলা সদর/জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্দেশনাসমূহ

১। সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফ্লু কর্নার/ফিভার কর্নার রাখতে হবে। এখানে জ্বরের রোগী এলে শনাক্ত করা ডেঙ্গু রোগীকে ট্রিয়াজ অর্থাৎ প্রাথমিক নির্ণয়ের মাধ্যমে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী এ, বি ও সি গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করে গাইডলাইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে।

২। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিটের মজুত নিশ্চিত করতে হবে।

৩। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা বিধিমোতাবেক সরকারের পূর্বনির্ধারিত হারে ফি প্রযোজ্য হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরদারিতে রাখবে।

৪। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী তীব্রতা অনুযায়ী প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হবে অথবা তাকে উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করতে হবে।

৫। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড বেড/ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত সুনির্দিষ্ট চিকিৎসক দল থাকতে হবে।

৭। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আইভি ফ্লুইডের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে বিধিমোতাবেক ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮। প্রতিটি রোগীর ফ্লুইড গ্রহণ ও বর্জনের চার্ট নিয়মিতভাবে রেকর্ড ও মনিটরিং করতে হবে।

৯। ডেঙ্গু রোগীদের জাতীয় গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট কনসেনট্রেট প্রয়োজন হলে সরকারিভাবে সংগ্রহ করা যাবে। নিম্নলিখিত ২১টি সেন্টারে প্লাটিলেট সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

DMCH. NICVD, NIKDU, NINS, BMU, CMCH. RMCH, NICRH. RpmCH, Dinajpur MCH. (DJMCH),

SZMCH. Manikganj MCH. Sher-E-Bangla MCH, Sylhet MAG Osmani MCH. NIDCH, ShSMCH.

SSMCH. Coxsbazar H. MMCH, Faridpur MCH. Sirajganj MCH

১০। হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১১। প্রতিটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত মৃত্যু পর্যালোচনা কমিটি রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় (সিডিসি) পাঠাতে হবে।

১২। ডেঙ্গু ভেক্টরবাহিত রোগ বিধায় জিও লোকেশন ট্রেসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মোবাইল নম্বর ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা অবশ্যই সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

১৩। ডেঙ্গু পরীক্ষার তথ্য দেওয়ার জন্য এমআইএস থেকে ডেঙ্গু ট্র্যাকার অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সব ল্যাবরেটরিতে এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

১৪। স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে ডেঙ্গুবিষয়ক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা নিতে হবে।

১৫। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় হাসপাতালের ভেতর পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সহযোগিতায় হাসপাতালের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

১৬। হাসপাতালের দর্শনার্থীদের সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে।

কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্দেশনাসমূহ

১। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোভিড প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সতর্কতা নিশ্চিত করতে হবে (মাস্ক পরা ও প্রয়োজনে পিপিই পরা)

২। হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

৩। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে জ্বরের রোগীদের বিশেষভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

৪। হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

৫। হাসপাতালে চাহিদা ও সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইসোলেশন/কোভিড শয্যা নিশ্চিত করতে হবে।

৬। হাসপাতালে চাহিদা অনুযায়ী সিডিসি থেকে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিধিমোতাবেক কিট সংগ্রহের ক্রয়প্রস্তুতি নিতে হবে।

৭। অ্যান্টিজেন টেস্টে কোভিড পজিটিভ রোগীদের নির্দিষ্ট আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য DHIS2 ও MIS সার্ভারে এন্ট্রি করতে হবে।

৮। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো কোভিড রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা যাবে না। যদি রেফার করার প্রয়োজন পরে তাহলে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে রেফার করতে হবে (রেফারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়া যেতে পারে)।

৯। কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে জাতীয় কোভিড-১৯ ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন-দশম ভার্সন অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।

১০। হাসপাতালে আগত রোগী/দর্শনার্থীদের কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সচেতন করা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়