ব্রেন টিউমার এক আতঙ্কের নাম। যা থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। ব্রেন টিউমার বা মস্তিষ্কের টিউমার বুঝতে না পারার কারণে চিকিৎসা নেয়া না হলেই মূলত বিপদের শুরু হয়। মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক কোষ জমা হলে টিউমার গঠন হয়। যা কখনো ক্যানসারযুক্ত (ম্যালিগন্যান্ট) এবং কখনো অ-ক্যানসারযুক্ত (বিনাইন) হতে পারে।
ব্রেন টিউমার বুঝতে না পারার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুবই অস্পষ্ট থাকে। এ কারণে রোগ নির্ণয় কঠিন কিংবা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মত লক্ষণগুলো শনাক্ত করা ও সচেতননতা বাড়ানোই একমাত্র উপায়, যা এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে ব্রেন টিউমার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক এবার।
হঠাৎ বমি বা বমি বমি ভাব: কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই যদি হঠাৎ বা নিয়মিত বমি হয় বা বমি বমি ভাব অনুভব করেন, তাহলে হতে পারে এটি ব্রেন টিউমারের সতর্কতা। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন উপসর্গ দেখা দিলে গুরুত্ব দিন।
মাথা ঘোরা ও খিঁচুনি: মাথা ঘোরানো বা আকস্মিক খিঁচুনি হওয়াকে কখনোই অবহেলা করতে নেই। এসব মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রে অস্বাভাবিক কোষের প্রভাবকে বোঝায়।
আচরণ ও ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন: মেজাজের পরিবর্তন, মনোযোগের অভাব বা স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এসব সমস্যাকে উড়িয়ে দিতে নেই।
দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা: ঝাপসা দৃষ্টি, দেখার দ্বিগুণ সমস্যা বা দৃষ্টিকোণ সংকুচিত হওয়া মস্তিষ্কের দৃষ্টিনালিতে মাত্রাতিরিক্ত চাপের ইঙ্গিত হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা অবহেলা করবেন না।
দীর্ঘমেয়াদি মাথাব্যথা: মাথাব্যথা যদি প্রতিদিন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হয়, যা সাধারণ ওষুধে না কমে, তাহলে এখনই সতর্ক হতে হবে আপনাকে। হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি এই মাথাব্যথা আপনার ব্রেন টিউমারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রতিরোধের উপায়: অপ্রয়োজনীয় রেডিয়েশন এড়িয়ে চলা: সিটি স্ক্যান, এক্স-রে এর মতো রেডিয়েশনের প্রভাব যতটা সম্ভব কম করুন।
রাসায়নিক থেকে দূরে থাকা: রং, জ্বালানি বা রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যাপারে সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা: সবসময় খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
ব্যায়াম করা: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস করুন। তবেই সুস্থ থাকবেন।
বংশগতভাবে ব্রেন টিউমার থাকলে সতর্কতা: পারিবারিক ইতিহাস বা বংশগতভাবে কারও এই রোগ থাকলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করাতে হবে। উৎস: চ্যানেল