ঢাকা জেলার সবচেয়ে বড় আশুলিয়ার বাইপাইল পাইকারি মৎস্য আড়তে কমেছে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ইলিশের।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সরজমিনে আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে উঠেছে মাছের বেচাকেনা। কেজি প্রতি মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা কমেছে।
বাইপাইল পাইকারি মৎস্য আড়তে মূলত দেশের বিভিন্ন জেলার নদী ও পুকুরের চাষ হওয়া মাছসহ সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায়। এছাড়া বার্মিজ রুই মাছও বাজারে আসে। আকার ও প্রকারভেদে দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও সামগ্রিকভাবে মাছের দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা তেলাপিয়া ও চাষের পাঙ্গাস মাছের দাম কমেছে। বিশেষ করে ইলিশের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। গত সপ্তাহে বড় ইলিশের কেজি প্রতি দাম ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। আজ সেই দাম নেমে এসেছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মাছের সরবরাহ। এতে দাম কমছে।
বাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি রুই ১৫০-১৮০ টাকা, কাতল ২২০-৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ৮০-১২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৮০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৫০-১৭০ টাকা, মৃগেল ১৮০-২০০ টাকা, চিতল ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, বাঠা ২০০-২২৫ টাকা, টাকি ২৩০ টাকা, শোল ৪০০-৭০০ টাকা, হরিনা চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা, মলা ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা ২৮০-৩০০ টাকা, টেংরা ৩০০-৩৫০ টাকা, ফলি ২০০-২৫০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৩০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি পুঁটি ২২০ টাকা, বড় সরপুটি ১২০-১৩০ টাকা, বাইম ৫০০-৮০০ টাকা, শিং ২০০-২৫০ টাকা, কই ১২০-১৩০ টাকা, মাগুর ১১০-১২০ টাকা, গোলসা ২৮০-৩০০ টাকা, আইড় ১০০০-১৩০০ টাকা, খলিশা ২০০-৩০০ টাকা, কালি বাউশ ২৮০-৩০০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০ -১২০০ টাকা, সুরমা ২০০-২৩০ টাকা, টুনা ১৫০-৩৫০ টাকা, কোরাল ৭০০-৮০০ টাকা, লইট্টা ২৫০-২৮০ টাকা ও তুলার ডাঁটি ২২০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার এই বৃহত্তর পাইকারি মৎস্য আড়তে প্রতিদিন কোটি টাকারও বেশি মাছ বেচাকেনা হয়।
সূত্র: সময়