শিরোনাম
◈ নাটোরের ১৩ টন গুলির খোসা পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি! ◈ বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে আইএমএফের প্রশংসা ◈ ‘সব সূচকে নাজুক অবস্থায় দেশের অর্থনীতি’ ◈ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় এডিবি : কান্ট্রি ডিরেক্টর ◈ ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি দুঃখজনক, ভারতের ভাবমূর্তির জন্য লজ্জার: বি‌সিসিআই ◈ চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বিদেশি অপারেটর নিয়োগে সমালোচনার ঝড় ◈ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো দেশে এলো আমদানি করা প্রায় ৫৭ হাজার টন গম ◈ ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, ব্যর্থ হলে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে: প্রধান বিচারপতি ◈ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে: তারেক রহমান ◈ দুই দশক পর ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক, নতুন সম্ভাবনায় আশাবাদ দুই দেশ

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:২৬ সকাল
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউজে শুরু হয়েছে কড়াকড়ি নিরাপত্তা তৎপরতা। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষ নিরাপত্তা টিম। বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপন কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি)-এর সমন্বয়ে গঠিত ১৮ সদস্যের ঐ প্রতিনিধিদলে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে দলটি বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুেফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিভাগীয় প্রধান ও কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বন্দরের স্পর্শকাতর স্থানে নজরদারি জোরদার, সন্দেহভাজন চলাচলকারীদের তল্লাশি বৃদ্ধি, প্রবেশগেটের নিরাপত্তা স্ক্যানিং আরো কঠোর করা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। নিরাপত্তা টিম থেকে জানানো হয়, কোনো ধরনের নাশকতা, অগ্নিসংযোগ বা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বন্দর এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বলেন, বন্দরের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সব সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

বর্তমানে বন্দরের নিয়মিত নিরাপত্তা কার্যক্রমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও বন্দর নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। বিশেষ করে বন্দরের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হওয়ায় বন্দরের অভ্যন্তরে নৌবাহিনীর উপস্থিতি ও টহল কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনীর স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বলয়কে আরো শক্তিশালী করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্দর ও কাস্টম হাউজ দুটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ কারণে বন্দরের নিরাপত্তা কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয়, বরং এটি গোটা দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। সূত্র: ইত্তেফাক 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়