ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন।। ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপ ঠেকাতে আগামী পাঁচ বছর অ্যামেরিকা থেকে বছরে সাত লাখ টন গম আমদানির জন্য চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ৷
বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন বাণিজ্য গোষ্ঠী ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের মধ্যে ঢাকায় একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে এই চুক্তি আনুষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স৷
১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ ভাগ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ এই প্রেক্ষাপটে এমন চুক্তি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা৷
ঢাকার কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ছয় বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে৷ এর ফলে বাংলাদেশের মূল রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের রপ্তানির ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত হবে বলেও মনে করছেন তারা৷
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘চুক্তিটি কেবল প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে উচ্চমানের গমের স্থিতিশীল সরবরাহই নিশ্চিত করবে না বরং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও জোরদার করবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপটি পারস্পরিক আস্থা তৈরি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়৷''
বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
গম আমদানির চুক্তিটিকে ওয়াশিংটনের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করা এবং শুল্ক নিয়ে আলোচনার দরজা খোলা রাখার জন্য একটি বৃহত্তর কূটনৈতিক ও বাণিজ্য কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, শুল্ক কমানোর প্রচেষ্টায় অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে৷
বাংলাদেশ এখন প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ টন গম আমদানি করে৷ খরচ কম হওয়ায় এর বেশিরভাগই কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চল, যেমন ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে আনা হয়৷
দাম বেশি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেবল অল্প পরিমাণ উচ্চমানের গম আমদানি করতো বাংলাদেশ৷