শিরোনাম
◈ নাটোরের ১৩ টন গুলির খোসা পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি! ◈ বাংলাদেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিকে আইএমএফের প্রশংসা ◈ ‘সব সূচকে নাজুক অবস্থায় দেশের অর্থনীতি’ ◈ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় এডিবি : কান্ট্রি ডিরেক্টর ◈ ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি দুঃখজনক, ভারতের ভাবমূর্তির জন্য লজ্জার: বি‌সিসিআই ◈ চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বিদেশি অপারেটর নিয়োগে সমালোচনার ঝড় ◈ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো দেশে এলো আমদানি করা প্রায় ৫৭ হাজার টন গম ◈ ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, ব্যর্থ হলে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে: প্রধান বিচারপতি ◈ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে: তারেক রহমান ◈ দুই দশক পর ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক, নতুন সম্ভাবনায় আশাবাদ দুই দেশ

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০৭ দুপুর
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার প্রতি খরচ বেড়েছে ২২ হাজার ৮০০ টাকা

চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ২০ ফুট এককের একটি কনটেইনার (টিইইউ) জাহাজ থেকে নেমে ঢাকার কোনো কারখানা হয়ে প্রাইম মুভারে করে ডিপোতে এলে খরচ হতো গড়ে ৬০ হাজার টাকা। একই কনটেইনার এখন একই ধাপ পেরোতে খরচ গুনতে হবে প্রায় ৮৩ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০ ফুট এককের একটি কনটেইনার থেকে এতদিন গড়ে মাশুল আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৮৫০ টাকা। গত ১৫ অক্টোবর নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ায় কনটেইনারপ্রতি এখন বাড়তি দিতে হচ্ছে গড়ে চার হাজার ৪০০ টাকা। একই কনটেইনার কারখানা থেকে ডিপোতে গেলে সেখানে আবার বাড়তি গুনতে হচ্ছে আট হাজার ৪০০ টাকা। ডিপো থেকে জাহাজে ওঠালে বাড়তি ভাড়া নেবেন শিপিং মালিকরা। সেখানে কনটেইনারপ্রতি যোগ হবে আরও অন্তত পাঁচ হাজার টাকা। খরচ বাড়ায় পরিবহন মালিকরাও প্রতিটি কনটেইনার পরিবহনে নতুন করে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এটি যদি কার্যকর হয়, তাহলে চারটি ধাপেই ২০ ফুট এককের একটি কনটেইনারকে বাড়তি খরচ গুনতে হবে অন্তত ২২ হাজার ৮০০ টাকা! সেই হিসাবে গড়ে ৬০ হাজার টাকা খরচ হতো যে কনটেইনারে, তাতে এখন খরচ হবে অন্তত ৮২ হাজার ৮০০ টাকা।

পোর্ট ইউজার্স ফোরাম এই মাশুল বাতিল করতে সরকারকে গত শনিবার এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দেয়। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত না পেলে বন্দর অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। এই আলটিমেটাম শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার। 

পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক ও চিটাগং চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বন্দর, ডিপো, শিপিং মালিক, পরিবহন মালিক– সবাই একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাড়তি খরচ পোষাতে সবাই যদি মাশুল বা ফি বাড়ায়, তাহলে কোথায় যাবেন ব্যবসায়ীরা। 

এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ও সিকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, বন্দরকে মাশুল বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। আলোচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নইলে বন্দর অচল করে দেবেন ব্যবহারকারীরা। 

এদিকে, খরচ বাড়ার উদাহরণ টেনে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানান, তাদের ‘এমভি ভেসপার’ নামে একটি খোলা পণ্যের জাহাজ ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দরে নোঙর করবে আগামী রোববার। আগের ট্রিপে এই জাহাজ বন্দরে এসে ২১ হাজার ডলার খরচ বহন করেছে। তবে এবারের ট্রিপে তাদের খরচ হচ্ছে ৪১ হাজার ডলার। এ হিসাবে খোলা পণ্যের জাহাজে শুধু বন্দরেই তাদের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সূত্র: সমকাল 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়