শিরোনাম
◈ ভোটাভুটি নয়, সর্বসম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনের পক্ষে জামায়াত ◈ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি, বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ◈ তাসকিন-মুস্তাফিজদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় ◈ দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীমের যোগদান ◈ চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অযত্ন-অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসক নেই, সেবা নেই, ভোগান্তি চরমে ◈ মিয়ানমারে দেড়শ ভারতীয় ড্রোন হামলার নেপথ্যে কে ছিল? ◈ দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখা উচিত: সালাহউদ্দিন আহমদ (ভিডিও) ◈ পিআর পদ্ধতির দাবিকে ঘিরেই কী আসছে নতুন নির্বাচনি সংকট

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৮:১৮ রাত
আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোপালগঞ্জে নিহতদের ময়নাতদন্ত না হওয়া নিয়ে হাসপাতালের ব্যাখ্যা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে সংঘাতের সময় নিহত ব্যক্তিদের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত না হাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাসের স্বাক্ষর করা ব্যাখ্যাটি রবিবার (২০ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত না করার বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনদের বক্তব্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করে।

এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।’
আরো বলা হয়েছে, প্রকৃত ঘটনা হলো ওই দিন জরুরি বিভাগে প্রথমে একটি মৃতদেহ আসে। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেওয়ার কথা বললে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক লাশ নিয়ে যান। পরবর্তীতে বাকি মৃতদেহগুলো স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হন না এবং হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক মৃতদেহ নিয়ে যান।

 বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চারদিকে সংঘর্ষ চলমান থাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোকজন না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসহায় বোধ করে। তা ছাড়া আহত লোকজনের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং অন্যান্য কর্মচারী আত্মনিয়োগ করায় এবং বাহিরের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনা পুলিশকে মোবাইল ফোনে এবং লিখিতভাবে জানানো হয়।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি গোপালগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ পরিবার সর্বদা আত্মনিয়োজিত।

আমরা আশা করি, উল্লেখিত বিবৃতির মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়