শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক ঘুমন্ত নারীকে ধারালো অস্ত্েরর আঘাতে খুন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার স্বামী আব্দুল করিম (৫২) ও প্রিেমক দেলোয়ার হোসেন (৪৮)কে গ্রপ্তাের করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদের দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নিহত নারী ঝরনা বেগম (৪৮) দেবিদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইলেকট্রকি মিস্ত্ির আব্দুল করিমের স্ত্রী।
নিহত ঝরনা বেগমের ছেলে মো. শরিফ (২৮) সৌদি আরব থেকে শুক্রবার দেশে ফিরে দেবিদ্বার থানায় ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানান, মামলার ভিত্তেিত শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে সন্দহেভাজন আসামি স্বামী আব্দুল করিম (৫২) ও প্রিেমক পৌর এলাকার বড়আলমপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৮) কে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কোর্ট হাজতে প্ররেণ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার জানান, ঝরনা বেগমের সঙ্গে তার ১০ বছরের প্রেেমর সম্পর্ক ছিল এবং তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও হতো। সাম্প্রতিককালে এই টাকাপয়সা নিয়েই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। অন্যদিকে স্বামী আব্দুল করিম স্ত্রীর পরকীয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ৩/৪ বছর যাবৎ ঝরনা বেগম ও তার স্বামী আলাদা কক্ষে ঘুমাতেন। ঝরনা প্রতিরাতেই স্বামীকে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। ঘটনার রাতে করিম তার স্ত্রীর দেওয়া ঘুমের ওষুধ খাননি, তবে ঝরনা বেগম ‘এলাট্রল’ সেবন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন করিম। স্থানীয়দের ধারণা, পরকীয়া ও আর্থিক বিরোধ থেকেই প্রিেমক কিংবা ক্ষুব্ধ স্বামী তাকে হত্যা করে থাকতে পারেন।
গত বুধবার বার (১৬ জুলাই) সকালে নিজ ঘর থেকে ঝরনা বেগমের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “গৃহবধূ ঝরনা বেগম হত্যা মামলায় সন্দহেভাজন প্রিেমক দেলোয়ার হোসেন ও স্বামী আব্দুল করিমকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা খুনের দায় স্বীকার না করলেও অসংলগ্ন বক্তব্যে তাদের প্রতি সন্দহে বেড়েছে। এজন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”