শিরোনাম
◈ আসিফ-মাহফুজকে নিয়ে যা বললেন নুর ◈ তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো, বলেছেন প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেনানিবাসে আশ্রয় ৬২৬ জনের তালিকা দিল সেনাবাহিনী, যাদের নাম আছে ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদের সাক্ষাৎ, পদত্যাগ না করার অনুরোধ ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সরকারকে আর সহযোগিতা নয়: হুঁশিয়ারি বিএনপির ◈ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত ◈ ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মালিকরা ◈ চীনের ১৫০ ব্যবসায়ীর ঢাকা সফর: বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা ◈ উত্তরা থেকে সনদপত্র জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা  গ্রেপ্তার  ◈ সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই রাহাত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৫, ০৭:৫৯ বিকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২৫, ১১:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটা-তাজা করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মালিকরা

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খামারের মালিক-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিনিয়ত তারা গরুর পরিচর্যা ও খাবারের মান ঠিক রেখে শেষ সময়ে গরুর মোটা-তাজা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৫টি গবাদি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৭টি গবাদি পশু। চাহিদার তুলনায় কিছু গবাদি পশু বেশি রয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলার সদর উপজেলায় ৪১৭১টি খামার, সরাইল উপজেলায় ১২৭৫টি, আখাউড়া উপজেলায় ৭৭৭টি, কসবা উপজেলায় ২০৪৪টি, নাসিরনগর উপজেলায় ১৬১৮টি, নবীনগর উপজেলায় ১৭০৩টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৮১টি, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০২৭টি ও বিজয়নগর উপজেলায় ৮৯৬টি খামার রয়েছে। এসব খামারে ৫৮৮৯৪টি ষাঁড়, ২৩৪২৩টি বলদ, ১৭২৫০টি গাভি, ১২১৬৬টি মহিষ, ১৫৩২১টি ছাগল, ৮৫৮১টি ভেড়া লালন-পালন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে পৌর শহরের নয়নপুর এলাকার রূপচান্দ বিবি ডেইরি খামারে গিয়ে দেখা যায়, ওই খামারে কোরবানির জন্য শতাধিক দেশীয় গরু লালন-পালন করা হচ্ছে।

ওই খামারের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমরা দেড় শতাধিক গরু লালন-পালন করেছিলাম। গত বছর ৩০টি গরু বিক্রি করতে পারিনি। গত বছরের থাকা ৩০টি গরুসহ এই বছর শতাধিক গরু লালন-পালন করেছি। সবগুলোই দেশীয় জাতের। প্রতিদিন গরুগুলোকে ২-৩ বার করে মোটরের পানি দিয়ে গোসল করাই। গরুর যেন গরম না লাগে সেজন্য বৈদৎুতিক পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে খামারে। গরুগুলোকে স্বাভাবিক খাওয়ার দেওয়া হয়। 

কথা হয় কয়েকজন মাঝারি খামারের মালিকের সাথে তারা জানান, জেলায় ১৪ হাজার ৭৯২টি খামারি রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বাড়াতে গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে। তবে দানাদার খাবারের পরিবর্তে গো-খাদ্য ঘাসের উৎপাদন বাড়াতে পারলে গরুর দাম অনেক কমে যাবে। 

আমরা খামার থেকেই গরু বিক্রি করি। চোরাই পথে গরু না এলে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবে। গত দুই বছর ধরে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুল ইসলাম জানান, জেলাই চাহিদার তুলনায় অধিক কোরবানির পশু রয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে গরু অন্য জেলায়ও বিক্রি করা যাবে। পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু বিক্রি করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়