শিরোনাম
◈ তারেক রহমানের জন্য বাসভবন, অফিস প্রস্তুত ◈ লাগেজ না খুলেই বিস্ফোরক শনাক্ত: বিমানবন্দরে বসছে ইটিডি মেশিন ◈ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে মিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ◈ হাদিকে গুলি, তদন্তে উঠে এলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য  ◈ মুসলিমদের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে ভারতে ভোটার তালিকা সংশোধন  ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শ্যুটার ফয়সালের মা-বাবা গ্রেপ্তার ◈ বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা ◈ সিঙ্গাপুরে হাদির চিকিৎসা: সর্বশেষ পরিস্থিতি জানালেন ভাই ওমর বিন হাদি ◈ ইউরোপযাত্রায় নৌকাডুবি: মাল্টার কাছে উদ্ধার ৫৯ বাংলাদেশিসহ ৬১ অভিবাসী ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে আদালতে নতুন তথ্য দিল কবির

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:২৩ দুপুর
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে মোমবাতির আলোয় এসএসসি পরীক্ষা

জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনেই ঠাকুরগাঁওয়ে ঝড়-বৃষ্টি ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া এবং জলাবদ্ধতায় কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহণ সংকট।
 
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে দেখা যায়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে থেকেই ভিজে কাপড়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন পরীক্ষার্থীরা। বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরাও ছাতা ব্যবহার করেও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাননি। বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীরা মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন। ভেজা কাপড়ে পরীক্ষা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
 
কেন্দ্রের সচিব জিয়াউর রহমান জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ২২৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন অনুপস্থিত ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
 
পাশের গড়েয়া হাইস্কুল কেন্দ্রের সচিব রহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কেন্দ্রে ৪৩৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সাতজন অনুপস্থিত ছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় স্বল্প আলোতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন।
 
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী লামিয়া অভিযোগ করেন, পরীক্ষা হলে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় লিখতে সমস্যা হয়েছে। অনেক পরীক্ষার্থীকে লিখতে না পেরে কাঁদতে দেখা গেছে।
 
কমলমতি পরীক্ষাথীদের কান্না দেখে অভিভাবকরাও ভেঙ্গে পড়েছেন। মতিউর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে পরীক্ষার প্রথমজীবনে বড় ধাক্কা খেলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি পনায় আমার মেয়ের মত অনেক পরীক্ষার্থী ভোগান্তি শিকার হয়েছে। ’
 
নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আখতার জানান, এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। 
 
তিনি আরও বলেন, শহরে একটি ট্রান্সফর্মার নষ্ট হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো। জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। তবে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে আলোর স্বল্পতা থাকায় মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
 
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম লুৎফুল হাসান সরকার জানান, প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের কিছু লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকলেও অনেক জায়গায় এখনও বন্ধ রয়েছে।
 
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৭ হাজার ৯৭৭ জন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ২ হাজার ৮০৮ জন এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে ১ হাজার ৯৩৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়