গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপি। রবিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বাংলামটরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ করে।
পরে রাত ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের দিকে যান এনসিপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে দলটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।
এ সময় তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার ও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ে অংশ নেওয়াদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব থাকাদের ওপর একের পর এক হামলা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা ও কোনো রাজনৈতিক দল তাদের পক্ষ নিলে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দেয় বিক্ষোভকারীরা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলকারীরা বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে এত হত্যা করার পরও আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা নাই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনের অংশগ্রহণ করবে কি করবে না তা ৫ আগস্টে নির্ধারণ হয়েছে। আওয়ামী লীগের যারা হত্যার ঘটনায় জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, সমন্বয়কদের ওপর কেউ হামলা করলে তাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতো হবে। সমন্বয়কদের দিকে তাকাবে তাদের চোখ জনগণ তুলে নিবে।
এদিকে হাসনাত আব্দুল্লার ওপর সন্ত্রাসী হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং এনসিপির নেতাকর্মীরা।
রাত ৯টার দিকে নেতাকর্মীরা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এখানে বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতারা এ হামলার জন্য নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন।